সোনিয়াকে তীব্র সমালোচনার পরেও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী আলভা! কংগ্রেসে কি রাশ আলগা গান্ধী পরিবারের
কংগ্রেস (Congress) নেত্রী বর্ষীয়ান মার্গারেট আলভাকে (Margaret Alva) উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Vice President Election) প্রার্থী করা হয়েছে। নাম ঘোষণার সময় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন নাম নিয়ে। কেননা বিভিন্ন সময়ে মার্গারেট আল
কংগ্রেস (Congress) নেত্রী বর্ষীয়ান মার্গারেট আলভাকে (Margaret Alva) উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Vice President Election) প্রার্থী করা হয়েছে। নাম ঘোষণার সময় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন নাম নিয়ে। কেননা বিভিন্ন সময়ে মার্গারেট আলভা সোনিয়া গান্ধীর সমালোচনা করেছেন। এহেন নেত্রীকে কেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করা হল? তাহলে কি কংগ্রেসে রাশ আলগা হচ্ছে সোনিয়া-রাহুলের, সেই প্রশ্নও উঠছে।
বিরোধী শিবিরে কি রাশ আলগা কংগ্রেসের
রাষ্ট্রপতি
ও
উপরাষ্ট্রপতি
পদে
কংগ্রেস
যথাক্রমে
সমর্থন
করেছে
যশবন্ত
সিনহা
ও
মার্গারেট
আলভাকে।
এই
দুক্ষেত্রে
সমর্থন
প্রসঙ্গে
অনেকেই
প্রশ্ন
তুলছেন,
তাহলে
কি
বিরোধী
শিবিরে
রাশ
আলগা
হচ্ছে
কংগ্রেসের।
আর
কংগ্রেসের
মধ্যেরাশ
আলগা
হচ্ছে
সোনিয়া-রাহুলের?
কেননা
কংগ্রেসের
কাছে
জুলাই-অগাস্ট
মাসে
রাষ্ট্রপতি
ও
উপরাষ্ট্রপতি
নির্বাচনের
প্রার্থী
বাছাইয়ের
পর্যাপ্ত
সময়
ছিল।
আলোচনা
করার
সময়
ছিল
এনডিএ
বিরোধীদের
সঙ্গে।
কিন্তু
সেক্ষেত্রে
রাহুল
ওসোনিয়াকে
সেরকম
সক্রিয়
হতে
দেখা
যায়নি।
বরং
এব্যাপারে
দায়িত্ব
ছেড়ে
দেওয়া
হয়েছিল
শরদ
পাওয়ার,
সীতারাম
ইয়েচুরিদের
হাতে।
সেক্ষেত্রে
মল্লিকার্জুন
খারগে,
জয়রাম
রমেশরা
আলোচনা
চালিয়েছেনশরদ
পাওয়ার
ও
সীতারাম
ইয়েচুরির
সঙ্গে।
কংগ্রেস
অনুগত
অনেকেই
বলছেন,
যেখানে
কংগ্রেস
বিরোধীদের
মধ্যে
তাদের
মত
রাখতে
পারত,
রাষ্ট্রপতি
ও
উপরাষ্ট্রপতি
নির্বাচনে,
সুযোগ
পেয়েও
তা
ব্যবহার
করল
না।
গান্ধী পরিবারের সমালোচক আলভা-সিনহা
প্রবীণ
কংগ্রেস
নেত্রী
মার্গারেট
আলভা।
বর্তমান
সময়ে
যিনি
গান্ধী
পরিবারের
সমালোচক
হিসেবেই
পরিচিত।
২০১৬-তে
প্রকাশিত
নিজের
স্মৃতি
কথা
কারেজ
অ্যান্ড
কমিটমেন্ট-এ
তাঁর
সমালোচনা
আলোড়ন
ফেলেছিল।
অগাস্টা
ওয়েস্টল্যান্ড
কেলেঙ্কারিতে
কংগ্রেসের
সম্পর্ক
নিয়েও
লিখেছিলেন
তিনি।
অন্যদিকে
যশবন্ত
সিনহা
কংগ্রেস
বিরোধী
বলেই
পরিচিত।
জনতা
দল
বিজেপি
হয়ে
তিনি
তৃণমূলে
যোগ
দিয়েছিলেন।
সেক্ষেত্রে
গান্ধী
পরিবারের
বিরোধী
করার
ট্র্যাক
রেকর্ড
রয়েছে।
একসময় কংগ্রেস ছেড়েছিলেন আলভা
মার্গারেট
আলভার
শাশুড়ি
ভায়োলেট
ছিলে
স্বাধীনতা
সংগ্রামী।
১৯৬৯
সালে
তিনি
ছিলে
রাজ্যসভার
ডেপুটি
চেয়ারপার্সন।
তৎকালীন
রাষ্ট্রপতি
জাকির
হোসেন
মারা
যাওয়ার
পরে
যখন
ভিভি
গিরিকে
রাষ্ট্রপতি
করা
হয়,
তখন
তিনি
উপ
রাষ্ট্রপতি
পদে
প্রার্থীও
ছিলেন।
কিন্তু
তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী
ইন্দিরা
গান্ধী
জিএস
পাঠককে
উপরাষ্ট্রপতি
পদের
জন্য
নির্বাচনে
নামিয়ে
দেন।
এই
ঘটনার
চারমাস
পরে
১৯৬৯-র
নভেম্বরে
ডেপুটি
চেয়ারম্যানের
পদ
থেকে
পজত্যাগ
করেন
ভায়োলেট।
তার
৫
দিন
পরেই
সেরিব্রাল
হেমারেজে
মারা
যান
তিনি।
অন্যদিকে
মার্গারেট
আলভা
১৯৭৭
সালে
নির্বাচনে
কংগ্রেসের
পরাজয়ের
পরে
১৯৭৮
সালে
ইন্দিরা
গান্ধীর
সঙ্গ
ছেড়ে
শরদ
পাওয়ারের
সঙ্গে
হাত
মিলিয়েছিলেন।
পরবর্তী
সময়ে
অবশ্য
তিনি
কংগ্রেসে
ফিরে
আসেন
এবং
রাজীব
গান্ধীর
মন্ত্রিসভায়
স্থান
পান।
সোনিয়ার তীব্র সমালোচনা ও কংগ্রেসের বিরোধিতা
পরবর্তী সময়ে সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের সভানেত্রী থাকার সময়ে মার্গারেট আলভা বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেস ও সোনিয়া গান্ধীর বিরোধিতা করেছেন। ২০০৮-এ কেন্দ্রে ইউপিএ ক্ষমতায় থাকার সময় দলের কর্নাটক ইউনিটের বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করায় অভিযুক্ত করেছিলেন। অন্যদিৃকে স্মৃতি কথায় কংগ্রেস সভানেত্রীকে খোঁচা দিয়ে যথেচ্ছভাবে দল চালানোয় অভিযুক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মনমোহন সিং তাঁকে মন্তিসভায় চাইলেও সোনিয়া তার বিরোধিতা করেছেন। এছাড়াও আলভা তাঁর স্মৃতি কথায় বলেছিলেন, কেন্দ্রের নরসীমা রাওয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার যখন বোফর্স মামলায় অভিযোগ বাতিলের দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন, সেই সময় সোনিয়া নাকি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ঠিক কী করতে চান? তাঁকে (সোনিয়া) কি জেলে ভরতে চান?