ভোটে হারলেও জুটেছে বৃহত্তম দলের তকমা, তেজস্বীর ভরসা এখনও অটুট ‘বড় ভাইয়ের’ উপরেই
ভোটে হারলেও জুটেছে বৃহত্তম দলের তকমা, তেজস্বীর ভরসা এখনও অটুট ‘বড় ভাইয়ের’ উপরেই
ম্যাজিক ফিগারের ধারে কাছে এসেও বিজেপির ছোবলে ঘায়েল বিরোধী মহাজোট। যদিও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে রাজ্যে বৃহত্তম দলের তকমা পেয়েছে আরজেডি। এদিকে আরজেডি শিবিরের ভোট প্রচার হোক বা নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ সবেতেই হাল ধরেছেন লালু পরিবার ঘনিষ্ট সঞ্জয় যাদব। এবার ভোটে হারলেও সেই 'বড় ভাইয়ের’ উপরেই আস্থা রাখতে চাইছেন তেজস্বী। এমনকী বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি জগতে আরজেডির ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতেও বড় হাত রয়েছে এই বড় ভাইয়েরই।
বড় ভাইয়ের হাত ধরেই কাম ব্যাক করতে চাইছেন তেজস্বী
এদিকে জীবনের শুরু থেকেই ক্রিকেটের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা ছিল তেজস্বী যাদবের। কিন্তু বাইশ গজে বিশেষ সুবিধা না করতে পেরে অবশেষে ২০১৩ সালে ২৩ বছর বয়সে নিজের মত বদলান তিনি। অবশেষে বিহারে ফিরেই রাজনীতিতেই মনোনিবেশ করবেন বলেও মনস্থির করেন। আর সেই সময় থেকেই তেজস্বীর অন্যতম পরামর্শদাতা তথা শিক্ষকের ভূমিকায় রয়েছেন এই সঞ্জয় যাদব। বর্তমানে ভোটে হারলেও ফের বড় ভাইয়ের হাত ধরেই কাম ব্যাক করতে চাইছেন তেজস্বী।
জোটের পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও বড় হাত আরজেডির চাণক্যের
এদিকে তেজস্বীর থেকে বয়সে মাত্র ৫ বছরের বড় সঞ্জয় যাদব। এদিকে ভোটের আগে রাঁচির জেলে থাকার সময়েই শেষবার লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করেন সঞ্জয়। তখনই বিহার ভোটের পরবর্তী রাজনৈতিক কৌশল ও কংগ্রেস, বামেদের সঙ্গে জোটের ব্যাপারেও দীর্গ পরিকল্পনা সারেন আরজেডি-র ৩৬ বছরের চানক্য। বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের বিশেষ সাক্ষাতকারে সেই অভিজ্ঞাতার কথাও শোনান সঞ্জয়।
জুনেই লালু সঙ্গে শেষ দেখা সঞ্জয়ের
জুনে লালুর সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সঞ্জয় বলেন, "লালুপ্রসাদের মতো এরকম একজন বরিষ্ঠ নেতার সঙ্গে ভোটের বিষয়ে আলোচনা সারা সত্যি চাপের। তিনি হয়তো আমার বয়সের থেকেও বেশি ভোট লড়েছেন। আপনি যদি বিহার ভোটের পূর্ববর্তী সমীকরণ, রাজ্যের জাতপাতের রসায়ন সম্পর্কে না জানেন তবে ভোটের কৌশল নির্ধারণ অতটা সহজ হয় না। কিন্তু তাও ভরসা দেন লালুজি। আমাকে আর তেজস্বীকে ভরসা দিয়ে বলেন এখন সবটাই তোমাদের উপর। চিন্তা করোনা, ঠিক জিতে যাব। "
তথ্য প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে আরজেডির মাটি শক্ত হয় সঞ্জয়ের হাত ধরেই
এদিকে হরিয়ানার মহেন্দ্রগড় জেলার নাঙ্গল সিরোহির হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন সঞ্জয় যাদব। এদিকে তারপর এমবিএ-র পাট চুকিয়ে ২০১৩ অবধি গুরগাঁওয়ের একটি আইটি ফার্মের টিম ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন তিনি। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে আরজেডির মাটি শক্ত করতেও বড় ছাপ রাখেন এই সঞ্জয় যাদব।
দলীয় সংগঠনে অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণের রাস্তাও প্রশস্ত হয় সঞ্জয়ের হাত ধরে
এমনকী দলীয় সংগঠনে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ব্যক্তিদের পাশাপাশি তফশীলি জাতি উপজাতিদের হাত শক্ত করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি। এমনকী দেশএর মধ্যে প্রথম দল হিসাবে দলে ইবিসি এবং এসসি / এসটি সদস্যদের সংরক্ষণের রাস্তাও পাকা করেন সঞ্জয়। যার ফলে দলিত ও সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে সহজেই নিজেদের আধিপত্য কায়েম রাখতে পারে আরজেডি। যার ছাপ চলতি বিধানসভা নির্বাচনেই স্পষ্ট।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ! বিহারে জয়ের পর প্রথম বার্তায় আর কাদের প্রশংসা নীতীশের