#Demonetisation : বড়দিন-নিউ ইয়ারের ভিড় সামলাতে রীতিমতো চিন্তিত শহরের নামি রেস্তোরাঁগুলি
কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর : বড়দিনের বাজারে পার্ক স্ট্রিটের রেস্তোরাঁগুলি ভিড়ে ঠাসা থাকবে সে তো জানা কথা। বছরের পর বছর ধরে সেই ভিড় সামলে আসছে রেস্তোরাঁগুলি। কিন্তু এবার ভিড়ের কথা ভেবেই কিছুটা উদ্বিগ্ন রেস্তোরাঁর কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রের নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকে পিওএস মেশিনের ব্যবহার বেড়েছে হু হু করে। এখন রোস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়ার পর ৯৫ শতাংশই কার্ডে পেমেন্ট করেন। আর তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে হোটেগুলির।

চাপ বেশি থাকলে সার্ভার ডাউন হওয়ার সম্ভবনাও প্রচুর। আর তা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। কারণ পার্ক স্ট্রিটের অধিকাংশ রেস্তোরাঁগুলিতে নগদ টাকা আর কার্ডে পেমেন্ট ছাড়া বিল মেটানোর অন্য বিকল্প অত্যন্ত কম।
কিছু কিছু রেস্তোরাঁ বিপদ এড়াতে অতিরিক্ত পিওএস মেশিন লাগিয়েছে। যাতে দুটি সার্ভারের জেরে সমস্যা এড়ানো যায়। হাতে গোনা কয়েকটি রেস্তোরাঁয় ই-ওয়ালেট এবং ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বিকল্প চালু করেছে।
মোকাম্বো, পিটার ক্যাটের মতো অতিজনপ্রিয় রেস্তোরাঁগুলিতে নগদ অর্থে বিল মেটানোর বিকল্প শুধুমাত্র কার্ডে পেমেন্টই। তবে তারা আশাবাদী সমস্য়া হয়তো হবে না। কারণ আগেও বড়দিন বা নিউ ইয়ারের ভিড়ের ৬৫ শতাংশ মানুষ কার্ডে পেমেন্ট করেন। সেটা এবার বেড়ে ৯৫ শতাংশে পৌঁছেছে। পিওএস মেশিন দুটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে লিঙ্ক হওয়ায় সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই মনে করছেন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
পার্ক স্ট্রিটের জনপ্রিয় অলি পাবও প্রথা ভেহে কার্ডে পেমেন্ট নিতে শুরু করেছে। নোট বাতিলের জেরে অধিকাংশ সময়ই হাতে টাকা থাকছে না অনেকের। কার্ডে পেমেন্ট নেওয়া শুরু না করলে হারাতে হবে অনেক খদ্দেরই। আর সেই কারণেই এবার দীর্ঘদিনের শুধু নগদে বিল নেওয়ার প্রথা ভেঙে ক্যাশলেস অর্থনীতির পথে হাঁটা লাগিয়েছে অলি পাবও।