নোট বাতিলের এমনই প্রভাব দেশের কাজের বাজারে, শ্রমমন্ত্রকের রিপোর্ট যা বলছে
২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে সব থেকে বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে ২০১৭-র জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে। আগের তিনটি ত্রৈমাসিকের থেকে বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয় এই সময়ে।
২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে সব থেকে বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে ২০১৭-র জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে। আগের তিনটি ত্রৈমাসিকের থেকে বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয় এই সময়ে। যেই সময়ে দেশে সব থেকে বেশি নোট বাতিলের প্রভাব পড়েছিল। এমনটাই রিপোর্ট দিয়েছে শ্রম মন্ত্রক।
২০১৬-১৭ সালে দেশে সংগঠিত ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১১০০-জনের ওপর কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যে সংখ্যাটা পুরো বছরে প্রায় ৪.১৬ লক্ষ। ২০১৫-১৬-র থেকে সংখ্যাটা প্রায় ২ শতাংশ বেশি।
২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে সব থেকে বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে ২০১৭-র জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে। আগের তিনটি ত্রৈমাসিকের থেকে বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয় এই সময়ে। যেই সময়ে দেশে সব থেকে বেশি নোট বাতিলের প্রভাব পড়েছিল। এমনটাই রিপোর্ট দিয়েছে শ্রম মন্ত্রক।
২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকে ৫৫ শতাংশ কাজের সুযোগ তৈরি হলেও জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭-র মধ্যে সব থেকে বেশি, প্রায় ৪৫ শতাংশ কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছিল।
প্রতিবছর ভারতের শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যার সঙ্গে যুক্ত হয় ৮ লক্ষের নাম। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক যুক্ত হয় দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রে। এই সার্ভে রিপোর্টে দেশের পুরো কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা না গেলেও, সংগঠিত ক্ষেত্র( যেখানে ১০ বা তার বেশি সংখ্যক ব্যক্তি কাজ করেন) সম্পর্কে জানা যায়।
২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে সুযোগ পাওয়া ৪.১৬ লক্ষ ব্যক্তির মধ্যে ৪৭.৪ শতাংশ তৈরি হয়েছে উৎপাদন শিল্পে। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে ৩২ শতাংশ সুযোগ।
চাকরির ক্ষেত্র অনুযায়ী বিচার করলে দেখা যাবে, ২০১৬-র এপ্রিলের থেকে ২০১৭-র এপ্রিলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি প্রায় ৫.৫ শতাংশ বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের পরেই রয়েছে ব্যবসা, পরিবহণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি। প্রত্যের ক্ষেত্রেই তিন শতাংশ করে। ২০১৭-র এপ্রিলে স্বাস্থ্য, ব্যবসা, পরিবহণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে মিলিত সুযোগ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ২১.৩ শতাংশ। এই সময়ে নির্মাণ শিল্প এবং রেস্টুরেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগ কমেছিল যতাক্রমে ৬.৩ ও ০.৫ শতাংশের মতো।