'বিমর্ষ মোদী ভুল তথ্য দিচ্ছেন'! প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চায়েত আক্রমণকে খোঁচা তৃণমূলের
পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বলতে উঠে বাংলায় রক্তাক্ত নির্বাচনকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারই পাল্টা দিল তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বলতে উঠে বাংলায় রক্তাক্ত নির্বাচনকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কর্ণাটকের ফলাফল প্রকাশের দিন বিজেপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গে টেনে আনেন মোদী। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র স্বার্থকে চরিতার্থ করতে বাংলায় গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের আদলে তেলের টিনের বর্ম! চাঞ্চল্য রাজ্যের এই অংশে চাঞ্চল্য]
এরই প্রেক্ষিতে মুখ খুলল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হতাশা থেকে একথা বলছেন বলে খোঁচা দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিজের দলই বেশিরভাগ জায়গায় হিংসা ছড়িয়েছে, মানুষ খুন করেছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আগেই জানিয়েছিলেন, 'এবার দেখাব হিংসা কাকে বলে।' সেই পথে হেঁটেই বিজেপি পঞ্চায়েতে হিংসা ছড়িয়েছে। তাই আগে নিজের দল সামলানো উচিত বিজেপি নেতৃত্বের।
এখানেই না থেমে তৃণমূলের খোঁচা, কর্ণাটকে বিজেপি জিততে না পেরে বিমর্ষ। পুরো ঘটনা না জেনে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর কোনও ঘটনায় মন্তব্য করা শোভা পায় না।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জানা উচিত, বিজেপির গুন্ডারা ১০জন তৃণমূল সমর্থককে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে খুন করেছে। কোনও বিজেপি কর্মী খুন হয়নি। তারপরও জেনেশুনে ভুল তথ্য পেশ করছেন মোদী। এমনটাই অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: কার দখলে বাংলার গ্রাম! অপেক্ষা আর এক রাতের, নির্বাচন কমিশন দিল কড়া নির্দেশিকা]