উত্তর ভারতে তীব্র বিদ্যুৎ সংকট! প্রভাব পড়তে পারে হাসপাতাল এবং মেট্রোয়, সতর্কবার্তা কেজরিওয়াল সরকারের
দিল্লি-সহ দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে তীব্র তাপপ্রবাহ (heatwave) চলছে। যার ফলে বিদ্যুতের চাহিদা এমনিতেই বেড়েছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কয়লার (coal) অভাবজনিত কারণ। কেজরিওয়াল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে
দিল্লি-সহ দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে তীব্র তাপপ্রবাহ (heatwave) চলছে। যার ফলে বিদ্যুতের চাহিদা এমনিতেই বেড়েছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কয়লার (coal) অভাবজনিত কারণ। কেজরিওয়াল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানের বিদ্যুতের সংকট চলতে থাকলে তা হাসপাতাল (hospital) এবং মেট্রোর (Metro) ওপরে গিয়েও পড়তে পারে।
কেন্দ্রকে চিঠি বিদ্যুৎ মন্ত্রীর
দিল্লির বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছেন, কেজরিওয়াল সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। চিঠিতে তিনি জাতীয় রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত কয়লা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
প্রভাব পড়তে পারে মেট্রো ও হাসপাতালে
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাদরি-২ এবং উনচাহার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। সেই কারণে দিল্লি মেট্রোর পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতাল এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিতে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হতে পারে। দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে দিল্লির প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ এইসব কেন্দ্রগুলি থেকে আসে। তবে এই সময়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এনটিপিসির দাদরি-২ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাত্র একদিনের এবং ঝাজ্জারে ৭-৮ দিনের কয়লা মজুত রয়েছে।
বিদ্যুৎ
মন্ত্রী
জানিয়েছে
দিল্লির
সরকার
পুরো
বিষয়টির
ওপরে
নজর
রাখছে।
গুরুত্বপূর্ণ
জায়গাগুলি
যাতে
বিদ্যুৎহীন
হয়ে
না
পড়ে,
সেই
কারণে
সব
ধরনের
চেষ্টা
চালানো
হচ্ছে।
তিনি
বলেছেন,
গ্রীষ্মে
দিল্লি
মেট্রো,
হাসপাতাল
এবং
জনগণকে
অবিচ্ছিন্ন
বিদ্যুৎ
সরবরাহে
বিদ্যুত
কেন্দ্রগুলির
ভূমিকা
গুরুত্বপূর্ণ।
বিদ্যুৎমন্ত্রী
বলেছেন,
বিদ্যুৎ
কেন্দ্রগুলি
দিল্লির
কিছু
অংশে
ব্ল্যাকআউট
প্রতিরোধে
গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা
পালন
করে
থাকে।
দিল্লিতে প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতের প্রয়োজন মেটার যেসব কেন্দ্র
সাধারণভাবে এনটিপিসি অর্থাৎ ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের দাদরি এবং ঝাজ্জার (আরাবালি) দিল্লি বিদ্যুতের প্রয়োজন মেটাতে প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন। এই মুহূর্তে এইসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজনের তুলনায় কম বিদ্যুৎ মজুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দিল্লিতে টানা যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ সরবরাহ করে
সাধারণত দিল্লিতে দাদরি-২, উনচাহার, কাহালগাঁও, ফরাক্কা এবং ঝাজ্জার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৭৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যায়। এর মধ্যে রাজধানী দিল্লি সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ পায় দাদরি ২ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে উনচাহার কেন্দ্র থেকে দিল্লি বিদ্যুৎ পায় ১০০ মেগাওয়াট।
তবে শুধু দিল্লিতেই নয়, বেশ কয়েকটি রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবারের নিরিখে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বাচ্চ বলেই জানানো হয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে। উত্তরে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতিদিন ২ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুহীন থাকছে।
মেধাবী সংরক্ষিত প্রার্থীদের জায়গা হবে সাধারণের তালিকায়, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট