
২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও নিয়ন্ত্রণে নয় দিল্লির আগুন! ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি, ক্ষতিগ্রস্থ বহু দোকান
প্রায় ২৪ ঘন্টা কেটে গিয়েছে! কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি দিল্লির চাঁদনি চক মার্কেটের আগুন। নতুন করে একের পর এক জায়গাতে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দিন-রাত দমকলের অন্তত ৪০ টি ইঞ্জিন কাজ করছে বলে জানা যাচ্ছে। বিধ্বংসী এই আগুনে এখনও পর্যন্ত অন্তত তিনট বহুতল ভেঙে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বাড়িও ব্যাপক ভাবে ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ১৫০ টির বেশি দোকান সম্পূর্ণ ভাবে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে দমকল সূত্রে জানা যাচ্ছে। গোটা এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাবে ইলেকট্রিকের দোকান সহ একাধিক বিদ্যুতের সরঞ্জামের কাজ হয়ে থাকে। ফলে ভয়ঙ্কর ভাবে দাহ্য পদার্থ ছড়িয়ে ছিল ঘটনাস্থলে। আর সেই কারণে খুব সহজেই আগুন এতটা বিধ্বংসী আকার নিয়েছে।
শুধু তাই নয়, দমকল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, দোকান গুলিতেও ব্যাপক ভাবে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে ক্রমশ। এই অবস্থায় কীভাবে দ্রুত আগুন নেভানো যায় সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ দমকলের কাছে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একেবারে হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকলকে। বিশেষ করে গোটা এলাকা ঘিঞ্জি হওয়াতেও আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে কর্মীদের।
বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির চাঁদনি চক মার্কেটের ইলেকট্রিকের হোলসেল বাজারে প্রথম আগুন লাগে। এরপর সেটি ভাগীরথ প্লেস মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৮ টি ইঞ্জিন। কিন্ত্য দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা এলাকা। একেবারে কালো ধোঁয়াতে ভরে যায় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি বুঝে আরও দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে।
প্রায় ৪০ টিরও বেশি দমকলের গাড়ি আগুন নেভানোর কাজে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও শুক্রবার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও আয়ত্তে এসেছিল বলে জানাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। শুরু হয়েছিল কুলিংয়ের কাজ। কিন্ত্য ফের একবার আগুন বিধ্বংসী আকার নেয় বলে দাবি দমকলের।
তবে বিধ্বংসী এই অগ্নিকান্ডে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর সামনে আসেনি। রাতে আগুন লাগায় বাজারে লোক সমাগম ছিল না। সেকারণে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটেনি। তবে কোটি টাকার সরঞ্জাম ভয়ঙ্কর এই আগুনে গ্রাসে চলে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এই আগুনের পর ঘুরে দাঁড়ানোটা বড় চ্যালেঞ্জের বলেও জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।