উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল্লিতে একদিনে আক্রান্ত ১৭,৩৬৪ জন, তিন সপ্তাহ পর কমল পজিটিভ হার
দিল্লিতে একদিনে আক্রান্ত ১৭,৩৬৪ জন
দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ তীব্রভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ভারতের একাধিক রাজ্যের মতোই দিল্লির অবস্থা ক্রমেই খারাপ হয়ে চলেছে। শনিবার জাতীয় রাজধানীতে নতুন কোভিড–১৯ কেস ধরা পড়েছে ১৭,৩৬৪টি এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৩২ জনের। এই নিয়ে দিল্লিতে মোট করোনা কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩,১০,২৩১ এবং মৃতের সংখ্যা ১৯,০৭১। এর পাশাপাশি দিল্লিতে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২০, ১৬০ জন।
তবে
স্বস্তির
খবর
এটাই
প্রায়
তিন
সপ্তাহ
পর
শনিবার
দিল্লিতে
দৈনিক
পজিটিভ
কেসের
হার
একটু
হ্রাস
পেয়ে
হয়েছে
২৩.৩৪
শতাংশ।
পজিটিভ
হার
হল
মারণ
ভাইরাসের
জন্য
যে
নমুনা
পরীক্ষা
করা
হয়
তার
মধ্যে
পজিটিভ
কেসের
শতকরা
হার।
পজিটিভ
কেসের
উন্নতির
ক্ষেত্রে
দিল্লিতে
পজিটিভ
কেসের
হার
গত
তিনদিনে
২৫
শতাংশের
নীচে
রয়েছে।
বর্তমানে
জাতীয়
রাজধানীতে
সক্রিয়
কেসের
সংখ্যা
৮৭,৯০৭টি,
যার
মধ্যে
৪৯,৮৬৫
জন
বাড়িতে
কোয়ারেন্টাইনে
রয়েছেন।
টিকা স্বত্ব তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তে বাড়ছে ধোঁয়াশা
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ২২,২৮৯টি বেড বরাদ্দ থাকলেও, তার মধ্যে মাত্র ২,৪৫১টি বেড খালি রয়েছে। দিল্লিতে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫১,৩৩৮টি হয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার দিল্লিতে ৭৯,৮০০ জন সুবিধাভোগীর টিকাকরণ সম্পন্ন হয়। যার মধ্যে ৬৭,৭৫৩ জন প্রথম ডোজ পান। এই সবের মধ্যে দিল্লিতে অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়ে গিয়েছে। একদিকে যখন একাধিক হাসপাতাল অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে, সেখানে দিল্লির বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫২৪ টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর। গত দুদিন ধরে প্রাচীন এই খান বাজার এলাকায় বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫২৪ টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। মাত্র একটি রেস্তোরাঁ থেকেই শুক্রবার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৯৬টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর। এক একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর প্রায় ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হত।