দিল্লি–এনসিআরে বায়ু দূষণ রোধে নিয়ে আসা হবে কড়া আইন, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
দিল্লি–এনসিআরে বায়ু দূষণ রোধে নিয়ে আসা হবে কড়া আইন
আর কিছুদিনের মধ্যেই শীতকাল কড়া নাড়বে দরজায়। আর শীতকালের আমেজ শুরু হওয়ার আগেই দিল্লি–এনসিআরেবায়ু দূষণের আতঙ্ক চাড়া দিয়ে উঠেছে। একে তো করোনা সংক্রমণে নাজেহাল দিল্লিবাসী উপরন্তু এই বায়ু দূষণ অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়াবে। এই সমস্যাকে সামনে রেখে সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে যে দিল্লি–এনসিআর অঞ্চলে বায়ু দূষণ এবং খড় পোড়ানোর সমস্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে।
স্থগিত এক সদস্যের কমিটির আদেশ
এর পরই সুপ্রিম কোর্ট এখন এনসিআর রাজ্যগুলিতে খড় পোড়ানো নিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ‘এক-সদস্য কমিটি' নিয়োগের নিজস্ব আদেশকে স্থগিত করেছে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ কেন্দ্রের অবস্থান বিবেচনা করার সময় এই আদেশটি পাস করেন যে, খড় পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি সহ বায়ু দূষণ মোকাবিলায় একটি বিস্তৃত আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।
১৬ অক্টোবর এক সদস্যের কমিটি নিয়োগ
১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন বি লোকুরকে এক-সদস্যের কমিটি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশে খড় পোড়ানোর অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য। এই কমিটি ওই তিন রাজ্যের মুখ্য সচিবের সহায়তাও পেত। কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে তারা শীঘ্রই এনসিআরে খড় পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য আইন প্রণয়ন করবে। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘সরকার দ্রুত আদেশ পাস করাতে চাইলে তাদের একটি আইন পাস করাতে হবে।'
কেন্দ্রের প্রস্তাবকে স্বাগত মুখ্য বিচারপতির
ভারতের মুখ্য বিচারপতি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে কেন্দ্রের নতুন আইন নিয়ে আসার এই প্রস্তাব অবশ্যই স্বাগত জানানোর মতো। তিনি বলেন, ‘এটা স্বাগত পদক্ষেপ। এটি এমন একটি বিষয় যেটির ওপর সরকারের কাজ করা উচিত ছিল। এটা জনস্বার্থ মামলার বিষয় নয়। দূষণের কারণে মানুষের দমবন্ধ অবস্থা হচ্ছে এটাই একমাত্র বিষয় এবং এটি এমন একটি বিষয় যা প্রতিরোধ করা উচিত।'
সোমবারও দিল্লিতে বায়ুর মান খারাপ ছিল
সোমবার সকালেও জাতীয় রাজধানীর বায়ুর মান খুবই দুর্বল ছিল। আর্থ সায়েন্স মন্ত্রকের বায়ুর মান পর্যবেক্ষক সফরের তথ্য অনুযায়ী, শহরে খড় পোড়ানোর কারণে বায়ু দূষণ ২.৫ পিএম বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার শহরের বায়ুর মান সূচকে রেকর্ড ছিল ৩৪৩, রবিবার ২৪ ঘণ্টা আগেও তা ছিল ৩৪৯।
পাঞ্জাব–হরিয়ানায় বাড়ছে খড় পোড়ানো
ধান কাটার মরশুম চূড়ান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঞ্জাবের খড় পোড়ানোর ঘটনা প্রতিদিন বাড়ছে। এ বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঞ্জাবের বিভিন্ন অংশে ৭,১০৫টি খড় পোড়ানোর ঘটনা সামনে এসেছে। সফর জানিয়েছে যে খড় পোড়ানোর ফলে দিল্লিতে বায়ু দূষণে তার ২.৫ পিএম অবদানের কারণে ১৯ শতাংশ দূষণ বৃদ্ধি পায়। গত বছরও একই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের মত বিরোধ চলছিল।