কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বা তাঁর মেয়ে গোয়ার কোনও রেস্তোরাঁর মালিক নন, মন্তব্য দিল্লি হাইকোর্টের
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বা তাঁর মেয়ে গোয়ার কোনও রেস্তোরাঁর মালিক নন, মন্তব্য দিল্লি হাইকোর্টের
সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, স্মৃতি ইরানি ও তাঁর মেয়ে গোয়ার কোনও রেস্তোরাঁর মালিক নন। তাঁদের নামে কোনও লাইসেন্স জারি করা হয়নি। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, জাল লাইসেন্স নিয়ে গোয়ার একটি রেস্তোরাঁ চালান স্মৃতি ইরানির মেয়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, পবন খোরা ও নেট্টা ডিসুজার বিরুদ্ধে স্মৃতি ইরানি দুই কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন।
দিল্লি হাইকোর্টের বক্তব্য
সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় স্মৃতি ইরানিবা তাঁর মেয়ের নামে গোয়ায় কোনও রেস্তোরাঁর লাইসেন্স জারি করা হয়নি। তাঁরা কখনই গোয়ার কোনও রেস্তোরাঁয় লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেননি। রেস্তোরাঁ বা জমির মালিকও স্মৃতি ইরানি বা তাঁর মেয়ের নয়। এর আগে শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মিনি পুষ্কর্ণ জানান, প্রকৃত ঘটনা যাচাই না করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে অপবাদমূলক প্রচার চালিয়েছেন কংগ্রেসের নেতারা। তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন এই বিষয়ে। এরপরে কংগ্রেস নেতারা এই বিষয়ে টুইট করেন। টুইট ও রিটুইটের জেরে ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ঘটনার জেরে স্মৃতি ইরানি ও তাঁর ১৮ বছরের মানহানি হয়। ইউটিউব, ফেসবুক, ট্যুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি।
কংগ্রেসের অভিযোগ
প্রায় এক সপ্তাহ আগে কংগ্রেসের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়, সিলি সোলস গোয়া নামের বার বেআইনিভাবে চালানো হচ্ছে। ওই রেস্তোরাঁকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তার একটি প্রতিলিপি সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকাশ করেন কংগ্রেসের নেতারা। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খোরা জানান, স্মৃতি ইরানির মেয়ে গোয়ায় জাল লাইসেন্স নিয়ে একটি অবৈধ বার চালান। বার ও রেস্তোরাঁটি লাইসেন্স যার নামে রয়েছে, তিনি ২০২১ সালের মে মাসে মারা গিয়েছেন। কংগ্রেস নেতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পদত্যাগ দাবি করেন।
অভিযোগ অস্বীকার স্মৃতি ইরানির
প্রথম থেকেই স্মৃতি ইরানি তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাঁর মেয়ের বয়স মাত্র ১৮। তাঁর মেয়ে কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। তাঁর মেয়ের সঙ্গে রেস্তোরাঁর কোনও যোগ নেই। পাল্টা তিনি অভিযোগ করেন, ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি মামলায় তিনি রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সেই প্রতিহিংসা থেকেই তাঁর মেয়ের নামে এই অপবাদ রটানো হচ্ছে। তিনি এর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেন।
পুজোর মধ্যেই কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগ! বেআইনি কিছু নয়, স্পষ্ট বার্তা ব্রাত্য বসুর