কানাহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিচারের নির্দেশ দিল্লির
কানাহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিচারের নির্দেশ দিল্লির
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বাম নেতা ও প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে বিচারের অনুমোদন দিল দিল্লি সরকার। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তৃতীয় মেয়াদে সরকারে বসেই কানাহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা শুরু করল। ২০১৬ সালের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কানহাইয়ের বিরুদ্ধে এতদিনে মামলা দায়ের করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হল।
আপের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের কাছে ফাইলটি বিচারাধীন ছিল। তিনি স্বরাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্ব সামলান। এই জাতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনিও দায় অস্বীকার করতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিদ্ধান্তটি একমাত্র স্বরাষ্ট্র দফতরের বিচারবিভাগীয় শাখা নিয়েছিল।
ওই কর্মকর্তা বলেন, স্বরাষ্ট্র বিভাগ এ ক্ষেত্রে আইনজীবিদের সুপারিশও নিয়েছিল এবং সব দিক বিশ্লেষণ করার পরে স্বরাষ্ট্র বিভাগের প্রসিকিউশন শাখা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা অন্য কোনও বিভাগ আইনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে হস্তক্ষেপ করে না।
২০০২ সালের পার্লামেন্ট হামলার আসামী আফজল গুরুর মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কানহাইয়া কুমার 'দেশবিরোধী' স্লোগান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং সাত কাশ্মীরি শিক্ষার্থী-সহ ১০ জেএনইউ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছিলেন।