স্ত্রীকে দেওয়া মাসিক খোরপোষ ১.৭ লক্ষ থেকে বেড়ে ২.৭ লক্ষ টাকা, বিস্তারিত জেনে নিন
মাসিক খোরপোষ ১.৭ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৭ লক্ষ টাকা করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিল্লির এক আদালতের। শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতনের জেরে স্বামীকে ছেড়ে ওই মহিলা বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন।
মাসিক খোরপোষ ১.৭ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৭ লক্ষ টাকা করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিল্লির এক আদালতের। শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতনের জেরে স্বামীকে ছেড়ে ওই মহিলা বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন।
২০০০-এ বিনোদন জগত ছেড়ে স্বেচ্ছায় গৃহিনী হয়েছিলেন দিল্লির এক যুবতী। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি। মাসে ১.৭ লক্ষ টাকা খোরপোষ হিসেবে পাচ্ছিলেন প্রাক্তন স্ত্রী। যদিও, এই টাকায় সন্তুষ্ট নন তিনি। দিল্লির এক আদালতে খোরপোষের পরিমাণ বাড়াতে আবেদন করেন তিনি। অ্যাডিশনাল সেশন জাজ একে কুহারা ওই মহিলার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। মাসিক খোরপোষের পরিমাণ ১.৭ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৭ লক্ষ টাকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
নির্দেশ দিতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, মহিলা একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। যাঁর পড়াশোনা আমেরিকায়। ১৭ বছরে তাঁর সময় নষ্ট হয়েছে। তাঁর পক্ষে সেই সময় ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়।
ওই
মহিলা
আমেরিকায়
ফিল্ম
মেকিং-এর
কোর্স
করেছিলেন।
এরপর
২০০০
সালে
বিয়ে।
এরপর
থেকে
আর
কোনও
কাজের
সঙ্গে
যুক্ত
নন
ওই
মহিলা।
মহিলার
যোগ্যতা
কেবল
মাত্র
ব্যবহার
হতে
পারে
ফিল্ম
ইন্ডাস্ট্রিতে।
কিন্তু
সেখানেও
অনিশ্চিত
ভবিষ্যত।
ফিল্ম
ইন্ডাস্ট্রিতে
পা
রাখাও
খুব
সহজ
কাজ
নয়।
বিয়ের
পর
তাঁর
মানসিক
অবস্থারও
পরিবর্তন
হয়েছে।
রায়
দিতে
গিয়ে
এমনটাই
মন্তব্য
করেছেন
বিচারক।
একজন
মহিলা
সবসময়ই
বেঁচে
থাকার
জন্য
পুরুষের
ওপর
নির্ভলশীল।
কিন্তু
যদি
বিয়ে
ভেঙে
যায়,
তাহলে
চাকুরে
মহিলাও
বিধ্বস্ত
হয়ে
পড়েন।
এমনটাই
পর্যবেক্ষণ
করেছে
আদালত।
আদালত আরও মনে করছে, মহিলার স্বামীর যে জীবনযাত্রার মান, তাতে নিম্ন আদালত দ্বারা নির্ধারিত স্ত্রীকে মাসে একলক্ষ টাকা খোরপোশ বৃদ্ধি যথেষ্ট হবে না। কেননা তাঁর স্ত্রীরও সেই জীবনযাত্রায় অধিকার রয়েছে।
স্বামী অভিযোগ করেন, স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি এখনও আদালতের বিচারাধীন।