নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেই কংগ্রেস-বিজেপিকে একহাত কেজরিওয়ালের
কংগ্রেস তো হারবেই, দিল্লিতে বিজেপিকেও জিততে দেবেন না বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
কংগ্রেস তো হারবেই, দিল্লিতে বিজেপিকেও জিততে দেবেন না বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজধানীর সাতটি লোকসভা আসনের সবকটিতেই আম আদমি পার্টির জয় নিশ্চিত বলেও দাবি করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
লোকসভা নির্বাচনের তিন দফার শেষে শুধুমাত্র দিল্লির জন্য, বৃহস্পতিবার আম আদমি পার্টির প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তেহারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস ও বিজেপি। এই নির্বাচনে দিল্লিতে কেজরিওয়ালের দল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে বলে দাবি রাহুল গান্ধীর দলের। সেখানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, রাজধানীতে কংগ্রেস একটি আসনও যদি জেতে, সাতটি আসন থেকেই সরে দাঁড়াবে আম আদমি পার্টি।
যদিও দেরিতে প্রকাশিত আম আদমি পার্টির নির্বাচনী ইস্তেহারকে চর্বিতচর্বন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কেজরিওয়ালের দলের ইস্তেহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক।
দিল্লিকে রাজ্যের তকমা
কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের পরিবর্তে রাজধানী দিল্লিকে স্বতন্ত্র রাজ্যের তকমা দেওয়ার দাবিতেই অনড় রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হওয়ায়, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের উপর কেন্দ্রের ছরি ঘোরানোর বিষয়টি কোনোদিনই মেনে নিতে পারেনি আপ। তাই ২০১৫ সালে দিল্লির মসনদ দখলের পর থেকেই, দেশের রাজধানীকে স্বতন্ত্র রাজ্য ঘোষণা করার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবারও আম আদমি পার্টির নির্বাচনী ইস্তেহারে সবার আগে সেই বিষয়টিকেই রাখা হয়েছে।
নারী নিরাপত্তা
খাতায়-কলমে মহিলাদের জন্য অসুরক্ষিত দিল্লিকে সেফ জোন বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আম আদমি পার্টি। যদিও গত চার বছরের শাসনকালে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এবং তাঁর সরকার নারী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মুখ থুবড়ে পড়েছেন বলেই দাবি বিরোধীদের।
|
দুর্নীতিহীন দিল্লি
বলা চলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে হাতিয়ার করেই দিল্লিতে কংগ্রেসের রাজপাট গুটিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও ক্ষমতায় তাঁরই দলের কিছু মন্ত্রী ও বিধায়কের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় জনমানসে কিছুটা হলেও প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে আম আদমি পার্টি। তবু সেই দুর্নীতিকেই নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহারে অন্যতম অ্যাজেন্ডা হিসেবে তুলে ধরতে কসুর করেনি কেজরিওয়ালের দল।
কাজের সুযোগ বৃদ্ধি
নির্বাচনী ইস্তেহারে আগামী পাঁচ বছরে দিল্লিতে চাকরির সুযোগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আম আদমি পার্টি।
[আরও পড়ুন:১৯ মে আগে মোদীর বায়োপিক মুক্তি পাক তা চাইছে না কমিশন]
যমুনা সংস্কার
প্রতিশ্রুতি দিয়েও যমুনা সংস্কারের কেন্দ্রের তরফে সদর্থক ভূমিকা না মেলায়, তাঁরাই নিজেদের কাঁধে এই দায়িত্ব বহন করবেন বলে জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা।
সবশেষে দিল্লিতে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল থেকে পাশ করা পড়ুয়াদের জন্য কলেজগুলিতে ৮৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছে আম আদমি পার্টি। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তাদের লোকসভা ওয়াড়ি নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশিত হবে।
[আরও পড়ুন: ভোটে তিনি নেই কিন্তু রাজ ঠাকরে অভিনব প্রচার করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁর লক্ষ্য কী ]
[আরও পড়ুন:পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর সব রকমের আপডেট পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে]