২০২০ দিল্লির নির্বাচনী প্রচারে লকেট সহ বাঙালি সাংসদদের 'গুরুদায়িত্ব' বিজেপির! অন্দরমহলে কোন খবর
২০২০ দিল্লি নির্বাচনে লকেট সহ বাঙালি সাংসদদের 'গুরুদায়িত্ব' বিজেপির! অন্দরমহলে কোন খবর
এক সপ্তাহ মোটে বাকি দিল্লি নির্বাচনের। তার আগে নাওয়া খাওয়ার সময় নেই বিজেপির একাধিক প্রথম সারির নেতা নেত্রীর। উল্লেখ্য, দিল্লি নির্বাচনকেই আপাতত পাখির চোখ করে এগিয়ে যাচ্ছে জেপি নাড্ডা শিবির। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড হাত ছাড়া হওয়ার পর এবার দিল্লি আঁকড়ে ধরতে চাইছে বিজেপি। আর এমন কাজে 'গুরুদায়িত্বে' রয়েছেন বিজেপির বাঙালি সাংসদরা।
বিজেপির তরফে সাংসদদের কোন নির্দেশ?
বিজেপি নেতৃত্ব এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে সাংসদদের দৈনিক রুটিন ও দলের কার্যভার। প্রত্যেক বিজেপি সাংসদকে একটি নোট পাঠিয়ে নেতৃত্ব জানিয়েছে প্রতিদিন সংসদে দুপুর ৩ টি পর্যন্ত থাকতে হবে। এরপর দলের কাজে যোগ দিতে হবে। কোন ধরনের কাজ বিজেপি সাংসদদের জন্য রয়েছে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দুপুর ৩ টের পর থেকে সাংসদদের কোন দায়িত্ব?
জেপি নাড্ডা শিবির সাফ জানিয়েছে, ৩১ এ জানুয়ারি থেকে দুপুর ৩ টের পর দলের হয়ে দিল্লিতে প্রচারে যেতে হবে বিজেপি সাংসদদের। তার আগে পর্যন্ত সংসদে থাকতে হবে। আর বিভিন্ন রাজ্যের সাংসদদের, নিজের নিজের ভাষাভাষির মানুষের কাছে ভোট প্রচারে যেতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কোন কোন রাজ্যের সাংসদদের দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব?
বিজেপি অন্দর মহলের খবর বলছে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের সাংসদদের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির প্রচারে এঁরাই বড় দায়িত্ব পালন করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ , দিল্লিতে উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা থেকে প্রচুর মানুষ বসবাস করেন। আর সেই সমস্ত মানুষদের বসবাসের এলাকা চিহ্নিত করে এই প্রচার চালাতে হবে বলে জানিয়েছে দিল্লিতে বিজেপির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
লকেট চট্টোপাধ্যায়দের বড় দায়িত্ব
জানা গিয়েছে, লকেট চট্টোপাধ্যায় সমেত বাংলার ২ জন সাংসদকে দিল্লির বাঙালির মন পেতে ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি। দিল্লিতে চিত্তরঞ্জন পার্ক, দিল্লি কালিবাড়ি এলাকায় বাঙালি ভোটারদের মন পেতে বাঙালি সাংসদদের প্রচারে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি হাইকমান্ড। আর দিল্লিতে বিজেপির মান বাঙালি সাংসদরা রক্ষা করতে পারেন কি না তা বলে দেহে ভোটের ফলাফল ও ভোট শেয়ার।
বইমেলার উদ্বোধনেই বইপ্রকাশ! সিএএ, এনআরসি, এনপিআর বিরোধী অবস্থান নিয়ে নতুন বই মমতার