কোনদিকে মোড় নিয়েছে লাদাখ ইস্যু? রাজ্যসভায় পরিস্থিতি খোলসা করলেন রাজনাথ সিং
চিনা আগ্রাসনের জেরে এখনও অস্থির পরিস্থিতি বজায় রয়েছে লাদাখে। এই পরিস্থিতিতে এদিন রাজ্যসভায় লাদাখ ইস্যুতে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাজনৈত সিং। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্যানগং হ্রদ এলাকায় দুই দেশই সেনা সরাতে শুরু করেছে। ভারত-চিন সেনার মধ্যকার নবম দফার আলোচনায় রফাসূত্র মিলতেই দুই দেশের তরফেই সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।


চিনকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি
এদিন রাজনাথ সিং বলেন, 'ভারত সব সময়ই বলেছে যে গালওয়ানের ঘটনার জেরে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়েছে। আমরা চিনকে সরাসরি বলেছি যে আমাদের উদ্দেশ্য মূলত শান্তি বজায় রাখা। তাই আমরা সংঘাতের জায়গাগুলি থেকে চিনকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি।'

ভারত শান্তির পক্ষে
এরপর রাজনাথ সিং বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে লাদাখের ইস্যুটির সমাধান সূত্র বের করতে বদ্ধপরিকর। আমরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তিপূর্ণ স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পক্ষপাতী। ভারতের কাছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখার বিয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'

জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
এদিকে ভারতীয় সেনার জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রাজ্যসভায় বলেন, 'আমাদের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা এটা প্রমমাণ করেছে যে তাঁরা যেকোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ম রক্ষা করতে যে কোনও কাজ করতে রাজি আমাদের দেশের সেনারা।'

আমাদের অবিরাম প্রচেষ্টার ফল
এরপর রাজনাথ সিং বলেন, 'আমাদের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলেই চিন প্যানগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে সায় দিয়েছে। সেই মতো ভারত, চিন, দুই দেশই সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতি স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এই চুক্তি লাদাখে শান্তি ফেরাতে সাহায্য করবে।'