পরিস্থিতি বদলের জের, প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যোগ নয়া ধারা
জাতীয় সুরক্ষা ধারা যুক্ত করেই প্রতিরক্ষা খাতে অনুমতি দেওয়া হবে ৭৪ শতাংশ এফডিআই-এর। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেটে গৃহীত হয় এই প্রস্তাব। স্পষ্টভাবে বলা হয়, কোনও রকম ভাবে যদি মনে করা হয়, যে প্রস্তাবিত বিদেশি বিনিয়োগ দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক, তাহলে তার অনুমতি দেবে না কেন্দ্র।
বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা হয়
এর আগে লকডাউন চলাকালীন প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। আর্থিক মন্দা কাটাতে ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজের বিশ্লেষণের চতুর্থ দফার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
জাতীয় সুরক্ষা ধারাটি জুড়ে দেওয়া হয়
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছিলেন, 'প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হল। আগে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪৯ শতাংশ। তা বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা হবে। ইতিমধ্য়েই এবিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে।' সেই মতোই মঙ্গলবার এই প্রস্তাব গৃহীত হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। তবে তার সঙ্গে এই জাতীয় সুরক্ষা ধারাটি জুড়ে দেওয়া হয়।
বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা
এর আগে অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, দেশে যে অস্ত্রগুলি উৎপাদন সম্ভব। তা আর বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে না। তিনি বলেছিলেন, 'আমরা কিছু সামরিক ক্ষেত্র ও অস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি তালিকা তৈরি করব। এই ক্ষেত্রগুলিতে বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ করা হবে। এবার থেকে দেশেই তা উৎপাদন করা হবে। এর মাধ্যমে দেশীয় সংস্থাগুলি উৎসাহ পাবে। অস্ত্র উৎপাদন ক্ষেত্রে আমাদের আত্মনির্ভরতা বাড়বে। প্রতিবছর এই তালিকা আরও বাড়বে ও নতুন করে সংশোধিত হবে।'
অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের কর্পোরেটাইজেশন
অর্থমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, 'দেশের সেনার জন্য অস্ত্র উৎপাদনকারী সংস্থা অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের কর্পোরেটাইজেশন করা হবে। তবে এটি বেসরকারিকরণ নয়। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের দায়বদ্ধতা, কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও গতি আনতেই এই কর্পোরেটাইজেশন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।'
চিন-পাকিস্তানকে সহজেই কাঁপাবে রাফাল! ভারতীয় বায়ুসোনার নয়া যুদ্ধবিমানের বিশদ একনজরে