গুজরাতে মোরবি সেতু রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা, তদন্তে উঠছে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ
গুজরাতে মোরবি সেতু রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা, তদন্তে উঠছে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ
গুজরাতের মোরবি শহরে একটি ঝুলন্ত সেতু রবিবার ভেঙে যায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝুলন্ত সেতুর তার ছিঁড়ে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ নয় জনকে আটক করেছে। অন্যদিকে, গুজরাত নির্বাচনের সামনে এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সেতু ভেঙে পড়ায় ঘটনায় গ্রেফতার ৯
গুজরাতে মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত নয় জনকে গ্রেফতার করেছে। রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া সংস্থার দুই কর্মরত ম্যানেজার, দুই জন টিকিট ক্লার্ক, সেতুর সাম্প্রতিক মেরামতের সঙ্গে যুক্ত দুজন ঠিকাদার এবং তিনজন নিরাপত্তারক্ষী। রবিবার মোরবি সেতুতে প্রচুর লোকসমাগম হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। অভিযোগ উঠেছে, সেতুটির যেখানে ১০০ জনের ধারণ ক্ষমতা, সেখানে ৪০০ জনকে টিকিট দেওয়া হল কেন।
কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ
গুজরাত সরকার মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ উঠে এসেছে। তাদের গাফিলতি বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে জানার পরেও সেতুটি জনসাধরণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। গুজরাত পুলিশ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করেছে।
রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ওরেভা গ্রুপকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সিএফএল বাল্ব, দেওয়াল ঘড়ি এবং ই-বাইক তৈরি করে এমন সংস্থাকে কেন শতাব্দী প্রাচীন এই ঝুলন্ত সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হল। মোরবি সেতু রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। ঝুলন্ত সেতুটি মেরামতের জন্য সাত মাস আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফিট সার্টিফিকেট ছাড়াই ২৬ অক্টোবর গুজরাতি নববর্ষের দিন তা খুলে দেওয়া হয়। পৌরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এই ঝুলন্ত সেতুটি পর্যটকদের জন্য খোলার বিষয়ে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকী পৌরসভা কোনও ফিট সার্টিফিকেটও দেয়নি।
শুরু রাজনৈতিক তরজা
গুজরাতে মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে অপরাধমূলক অবহেলা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই দুর্ঘটনার জন্য গুরাতের বিজেপি সরকারকে দায়ী করছে। গুজরাতে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। রাজকোটের বিজেপির লোকসভা সাংসদ মোহন কুন্ডারিয়ার ১২ জন আত্মীয় রয়েছেন।
৪০ পয়সাও দাম কমল না পেট্রোল-ডিজেলের! সিদ্ধান্ত ফেরত নিল তেল সংস্থাগুলি