বালাসোরে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত বেড়ে ১১
ওড়িশার বালাসোরের অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। ঘটনায় এক পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ওড়িশার বালাসোরের অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। ঘটনায় এক পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধেয় ওড়িশার বালাসোরে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই ছয় জনের মৃত্যু হয়। নয়জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কটকের শ্রীরামচন্দ্র ভাঞ্জা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন ৫ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক রোগীদের জন্য গঠন করা হয়েছিল মেডিকেল বোর্ড। সেই মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক অরুণ চৌধুরী এমনটাই জানিয়েছেন।
হাসপাতালের সুপার শ্যামা কানুনেগো জানিয়েছেন, রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিভিন্ন বিভাগ, যেমন সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ভয়ানক ভাবে পুড়ে যাওয়া চারজনের চিকিৎসা চলছে ওই হাসপাতালেই।
এদিকে, অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে রাজ্য পুলিশের ডিজি আরপি শর্মা বাহাবলপুর মেরিন পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছেন।
বাজি
তৈরির
সময়
বুধবার
সন্ধেয়
বাহাবলপুরের
অবৈধ
বাজি
কারখানায়
বিস্ফোরণ
হয়।
জেলাসদর
বালাসোর
থেকে
বাহাবলপুরের
দূরত্ব
প্রায়
১২
কিমি।
বালাসোরের
জেলাশাসক
প্রমোদকুমার
দাস
জানিয়েছেন,
ঘটনাস্থলেই
মৃত
৬
জনের
দেহ
উদ্ধার
করা
হয়েছে।
তবে
দেহগুলি
এতটাই
পুড়ে
গিয়েছিল
যে,
বেশিরভাগকেই
চিনতে
পারা
যায়নি।
বাজি
কারখানার
কোনও
লাইসেন্স
ছিল
না
বলেই
জানিয়েছেন
তিনি।
ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। মৃতদের পরিবারবর্গকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। আশঙ্কাজনকদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য করার সঙ্গে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঘটনার
তদন্তে
পুলিশের
সঙ্গে
দমকল
এবং
ফরেনসিক
টিমকেও
পাঠানো
হয়েছে।
স্থানীয়রা
জানিয়েছেন,
বিস্ফোরণের
তীব্রতা
এতটাই
বেশি
ছিল
যে,
যেখানে
বাজি
তৈরি
হচ্ছিল
সেখানকার
ছাদও
উড়ে
যায়।