৪০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন ২০–২৫ লক্ষ পিপিই কিট
৪০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন ২০–২৫ লক্ষ পিপিই কিট
করোনা ভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে দেশের ৪০ লক্ষ স্বাস্থ্য কর্মী দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন ভারতে। প্রত্যেকদিন এইসব স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ২০–২৫ লক্ষ প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের দরকার রয়েছে। প্লাস্টিকের জিনিস যেমন পিপিই কিট, মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ, জলের বোতল, জুতো ও মাথা ঢাকার প্লাস্টিক এগুলি প্রথম সারির কর্মীদের সুরক্ষা কবচ হিসাবে রয়েছে। এর অর্থ হল প্লাস্টিকের বেশি ব্যবহার ও এই প্লাস্টিক নিষ্কাশন করার কার্যকর উপায় প্রয়োজন।
প্ল্যাস্টিক দুর্ভেদ্য ও অছিদ্রযুক্ত
শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল পেশাদার ও বিজ্ঞানীরা ভারতীয় নাগরিকদের কোভিড-১৯ রোধে প্লাস্টিক পণ্যের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্য এবং নিরাপদে নিষ্কাশন ও পুনঃব্যবহার ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এগিয়ে এসেছেন। আইএমএ-এর প্রাক্তন সভাপতিচিকিৎসক ডাঃ কেকে আগরওয়াল বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা দিতে প্লাস্টিকের মতো দুর্ভেদ্য ও অছিদ্রযুক্ত প্রটেকটিভ গিয়ারের প্রয়োজন রয়েছে আমাদের। তাই বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য মাস্ক, গ্লোভ, প্রোটেকটিভ শিল্ড চোখ, মুখ, মাথা ও জুতোর জন্য, তা সবই তৈরি প্লাস্টিক দিয়ে। দুর্ভেদ্য এই উপাদান ফোঁটার মাধ্যমে আসা ভাইরাসকে ত্বকের সংস্পর্শে আসা থেকে আটকে দেয় এবং তা প্রটেকটিভ গিয়ারের বাইরে থাকে।'
জৈব বর্জ্য পদার্থ নিয়মিত নিষ্কাশন প্রয়োজন
এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ যে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রত্যেক আট ঘণ্টা অন্তর এই পিপিই কিট বদল করা দরকার এবং নিয়মিত হাসপাতালকে সংক্রমণমুক্ত করা, জানান কেকে আগরওয়াল। তাঁর মতে, ৪০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী এই কোভিড-১৯ বিরুদ্ধে লড়ছেন। তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করতে প্রতিদিন আমাদের ২০-২৫ লক্ষ পিপিই কিটের প্রয়োজন রয়েছে।' ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর হসপিটাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এবং আইআইএইচএমআরের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক অশোক কে আগরওয়াল জানিয়েছেন চিকিৎসা বর্জ্যকে সঠিকভাবে পরিচালনা ও নিষ্কাষণ না করলে তা স্বাস্থ্য কর্মীদের উচ্চ ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে। সমস্ত জৈব বর্জ্যকে রঙ-ভিত্তিক শ্রেণীর নিষ্কাশনের জায়গায় ফেলা উচিত। জৈব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৬ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুসারে হলুদ, লাল, সাদা এবং নীল রঙের পাত্রে ফেলা উচিত বর্জ্য পদার্থ। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রুখতে এই নির্দেশিকা অবশ্যই পালন করা দরকার। প্লাস্টিক বর্জ্য/নিষ্কাশন ব্যাগ যাতে প্রত্যেক হাসপাতালে, কোয়ারান্টাইনে ও সাধারণ পরিবারে থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। তাহলেই বর্জ্য সংগ্রহ করা যাবে এবং তা পুর্নব্যবহার করার উপযুক্ত করা যাবে।'
প্লাস্টিক বর্জ্য ।সঠিক জায়গায় ফেলা দরকার
ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজির অধ্যাপক ডাঃ বিজয় হাব্বু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মাস্ক, গ্লাভস, প্লাস্টিক ব্যাগ-বোতল পিপিই-এর মতো প্রোটেকটিভ ইকুপমেন্ট গম, চাল, তেল, জলের মতোই প্রয়োজনীয়। সেগুলি কখনই অযত্নে ফেলে দেওয়া উচিত নয়। এগুলিকে সঠিক জায়গায় ফেলা দরকার তবেই তা পুনরায় ব্যবহার যোগ্য হয়ে উঠবে।'