আতঙ্কের মধ্যেই স্বস্তি দিচ্ছে দেশের করোনা সংক্রমন, ৫৫৮ দিন পর আক্রান্তের সংখ্যা কমে মাত্র ৬,৮২২
ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যেও স্বস্তির খবর। দেশে ক্রমশ কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র 6,822। গতকাল অর্থাৎ সোমবারের সংক্রমনের তুলনায় 17.8 শতাংশ কম।
ওমিক্রন আক্রান্তের মধ্যেও স্বস্তির খবর। দেশে ক্রমশ কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র 6,822। গতকাল অর্থাৎ সোমবারের সংক্রমনের তুলনায় 17.8 শতাংশ কম।
শুধু তাই নয়, গোটা দেশে লাগাতার ১১ দিন ধরে দৈনিক করোনা সংক্রমনের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচেই রয়েছে। শুধু তাই নয়, ১৬৩ দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের নীচেই রয়েছে। যা কিনা অবশ্যই স্বস্তিদায়ক বলছেন চিকিৎসকরা। তবে একই সঙ্গে এই সময়টা খুবই সাবধান থাকার কথাও জানাচ্ছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ওমিক্রনের কারনে দেশে থার্ড ওয়েভ দেখা দিতে পারে।
করোনা জয়ীর সংখ্যা বাড়ছে
ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন 10,004। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা 3,40,79,612 জন। তবে গত ২৪ ঘন্টায় ২২০ জনের মৃত্য হয়েছে। এমনটাই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দেওয়া বুলেটিনে। ফলে এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল 4,73,757 জন।
অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে
শুধু করোনা সংক্রমণের হারই কমছে না। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। বুলেটিনে তথ্য অনুযায়ী দেশে এই মুহূর্তে সংক্রিয় রোগীর সংখ্যা 95,014। যা কিনা সোমবারের রিপোর্টের তুলনায় তিন হাজার কম রয়েছে। সোমবার দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা 98,416 ছিল। ফলে চিকিৎসকরা বলছেন এই মুহূর্তে দেশে যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা রয়েছে তা ৫৫৪ দিনের মধ্যে সবথেকে নীচের স্তরে রয়েছে। অন্যদিকে আজ করোনা সংক্রমণের হারও গত ৫৫৮ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম।
অত্যন্ত গর্বের একটি মুহূর্ত৷
তবে করোনা সংক্রমণের হার কমতে থাকার কারন হিসাবেও অনেকেই ভ্যাকসিনেশন বলছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একমাত্র সাহায্য করতে পারে ভ্যাকসিনই। সেখানে দাঁড়িয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ হয়েছে। দেশজুড়ে গণটিকাকরণ শুরুর এক বছরের মধ্যেই এই মাইলস্টোন ছুঁতে পেরেছে ভারত৷ রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, 'আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের একটি মুহূর্ত৷ প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের সম্পূর্ণ টিকাকরণ করতে পেরেছি আমরা।' সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ট্যুইট ট্যাগ করেই মোদী লেখেন, ' ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়া আরও একটি মাইলস্টোন ছুঁল। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইতে এই গতিময়তা বজায় রাখতেই হবে৷ আর হ্যাঁ, মাস্ক পরা, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং সহ সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি পালন করুন।'
করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩
তবে সংক্রমণ কমলেও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ওমিক্রণ। এই মুহূর্তে দেশে করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩। সগখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।