অমিত শাহের শিলং সফরের ২ দিন আগে কারফিউ জারি মেঘালয়ে
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে জ্বলছে অসম-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত। মূলত অসমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করলে সেই আঁচ গিয়ে পরে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও। অসমের মতো নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধইতায় বিক্ষোভ শুরু হয় শিলং সহ মেঘালয়ের বিভিন্ন জায়গাতে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানী শিলংয়ের কিছু অংশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শহরের মোবাইল,ইন্টারনেট এবং এসএমএস পরিষেবাও।
শিলংয়ে বিক্ষোভ
জানা গিয়েছে অসমের ডিব্রুগড়, গুয়াহাটির মতোই বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছিল মেঘালয়ের রাজধানী শিলং। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে শহরের অন্যতম প্রধান সড়কে একটি বিশাল মশাল মিছিল বের করে বিক্ষোভকারীরা। এসময় বিক্ষুব্থ লোকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি ও অন্যান্য জিনিসে আগুন ধরিয়ে দেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় বন্ধ হয়ে যায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে পরে বৃহস্পতিবার রাতে শিলংয়ে কারফিউ জারি করে রাজ্য প্রশাসন।
১৫ ডিসেম্বর শিলং সফরে যাবেন শাহ
এদিকে ১৫ ডিসেম্বর মেঘালয়ের শিলং যাচ্ছেন অমিত শাহ। সেখানে স্থিত উত্তর-পূর্ব পুলিশ অ্যাকাডেমির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি সেখানে যাচ্ছেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানে হয়েছে। তবে এই সফর চলাকালীন অসমের উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করার কোনও চেষ্টা বা সেই সংক্রান্ত কোনও বৈঠকে তিনি বসবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শিলং সফর বাতিল বাংলাদেশের স্বররাষ্ট্রমন্ত্রীর
শিলং সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের স্বররাষ্ট্রমন্ত্রীরও। তবে তিনি সেই সফর বাতিল করেছেন। শিলংয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এর আগে ভারত সফর বাতিল করেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রীও। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও তোপ দেগেছেন মেমন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশ সাম্পদায়িক সম্প্রীতির নিরিখে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ। পাশাপাশি তিনি ভারতে সিএবি পাশ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
উত্তর-পূর্বকে অভয়
যদিও অমিত শাহ সংসদে জানিয়ে দিয়েছেন উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির আশঙ্কা ও উদ্বেগকে গুরুত্ব দিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লাগুর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কতগুলি জায়গা বাদ রাখা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করেছে, তাতে অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরামের ইনার লাইন পারমিটভুক্ত এলাকা এবং উত্তর পূর্বের ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত এলাকাগুলিকে বাদ রাখা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙালি শরণার্থীদের ঢেউয়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলার ভয়ে জ্বলে উঠেছে অসম সহ উত্তর-পূর্ব।