আসন্ন নির্বাচনে বিহার থেকে লড়তে পারেন কানহাইয়া কুমার! তালিকায় আর কে কে, জেনে নিন
২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে বিহারে বিরোধী জোট হলে এক বাম প্রার্থীর নাম এখন থেকেই বলে দেওয়া যায়। বিহারের বেগুসরাই লোকসভা কেন্দ্র থেকে ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে দাঁড় করাতে পারে সিপিআই
২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে বিহারে বিরোধী জোট হলে এক বাম প্রার্থীর নাম এখন থেকেই বলে দেওয়া যায়। বিহারের বেগুসরাই লোকসভা কেন্দ্র থেকে ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে দাঁড় করাতে পারে সিপিআই। তারিক আনোয়ার, শত্রুঘ্ন সিনহা ও কীর্তি আজাদের ব্যাপারেও প্রায় সিদ্ধাব্ত নিয়ে নিয়েছে গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স।
বামেরা ইতিমধ্যেই বিহারে সম্মিলিত বিরোধী প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে তাদের মত প্রকাশ করেছে। বিরোধী জোাটে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কংগ্রেস, আরজেডি, এনসিপি, জিতেন রাম মাঝির হাম, সিপিআই, সিপিএম, সিপিআইএমএল, শারদ যাদবের লোকতান্ত্রিক জনতা দল। বামেদের তরফে সিপিআই ইতিমধ্যেই কানহাইয়া কুমারকে তাদের প্রার্থী করার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিহারের এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, অনেকটা ২০০৪ সালের ধাঁচে বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধীদের এক করার চেষ্টা চলছে। বিহারে সেই প্রচেষ্টা শুরুও হয়ে গিয়েছে। আসন চিহ্নিত করে সেখানে প্রার্থীদের নাম নিয়েও আলোচনা চলছে। রাহুল গান্ধী নিজেও তেজস্বী যাদব, তারিক আনোয়ার, শারদ যাদবের মতো নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। সবাই মিলেই বিহারে গ্রান্ড অ্যালায়েন্সকে জোরদার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টার অঙ্গ হিসেবে, বিহারের বেগুসরাই আসনটি সিপিআইকে ছাড়া হতে পারে। তারা জেএনইউ-এর প্রাক্তনী কানহাইয়া কুমারকে দাঁড় করাবে। জানিয়েছেন ওই কংগ্রেস নেতা।
জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি থাকাকালীন কানাহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনার পরেই তাঁর নাম সামনে চলে আসে। ফ্রম বিহার টু তিহার-একটি বইও লিখেছেন তিনি।
কানাহাইয়া কুমারের মা বিহারের বেগুসরাইতে অঙ্গনওয়ারি কর্মী আর তাঁর বাবা সাধারণ এক কৃষক। যদিও প্যারালিসিসের কারণে তিনি শয্যাশায়ী।
পাটনা সফরকালে সিপিআই-এর ন্যাশনাল কাউন্সিল সেক্রেটারি কেআর নারাইনা কানহাইয়া কুমারকে নির্বাচনে দাঁড় করানোর ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
বিহারের ৪০ টি আসনে গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স নিয়ে আলোচনা চলছে। তাতে অপর এক প্রার্থীর নামও নির্দিষ করে বলাই যায়। তিনি হলেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তারিক আনোয়ার। কাটিহার সংসদীয় আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তিনি।
গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্সের তরফ থেকে ইতি মধ্যেই দুই বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ও কীর্তি আজাদকে যথাক্রমে পাটনা সাহিব ও দারভাঙা থেকে দাঁড় করানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।