করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুর্বল কোভ্যাক্সিন, নয়া গবেষণায় বাড়ছে আতঙ্ক
করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুর্বল কোভ্যাক্সিন
দ্বিতীয়
পর্বের
করোনাকালে
গোটা
বিশ্বজুড়েই
সর্বাধিক
উদ্বেগ
বাড়িয়েছে
করোনার
ভারতীয়
স্ট্রেন।
এমনকী
এই
স্ট্রেন
পুরনো
স্ট্রেনের
থেকে
৫০
শতাংশ
অধিক
সংক্রামক
ও
প্রাণঘাতী
বলেও
গবেষণায়
উঠে
এসেছিল।
তারপরেই
এই
স্ট্রেনের
বিরুদ্ধে
টিকার
কার্যকারিতা
নিয়ে
উঠেছিল।
যদিও
একাধিক
গবেষণায়
দেখা
যায়
ভারতের
ডাবল
মিউট্যান্ট
ভ্যারিয়েন্ট
বা
ডেল্টা
স্ট্রেন
বি.১.৬১৭
এর
বিরুদ্ধে
লড়াইয়ে
সক্ষম
কোভিশিল্ড
ও
কোভ্যাক্সিন
দুটি
টিকাই।
যদিও বর্তমান গবেষণা বলছে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াউয়ে খানিক দুর্বল হয়ে পড়ছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির তরফে সম্প্রতি একটি গবেষণা করা হয়েছিল। যাতে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে আরও একাধিক তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা যায়।
এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ক্রমশ উন্নততর করে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে কোভিড। লাগাতার অভিযোজনের ফলে আগের থেকেও ভয়াবহ করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলি। এমতাবস্থায় নতুন স্ট্রেনের আক্রমণ যে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা বলয়ও ভাঙতে পারে, তা আগেই জানিয়েছিলেন হু বিজ্ঞানীরা।
লক্ষ্যমাত্রা পূরণে দরকার প্রায় ১০ গুণ দ্রুত টিকাকরণ, বছর শেষের আগে আদৌও কী কমবে উদ্বেগ?
গবেষকরা জানাচ্ছেন বি.১.৬১৭ ও বি.১.৩৫১ ভ্যারিয়েন্টগুলি বিশেষ অভিযোজনের মাধ্যমে সংক্রমণের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি টিকাজনিত অ্যান্টিবডিকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম। এদিকে ইতিমধ্যেই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও গ্রেট ব্রিটেনের মত দেশে বি.১.৬১৭ স্ট্রেনকে ভয়াবহতার তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। যদিও ভারত বায়োটেক শুরুতে দাবি করেছিল তাদের করোনা টিকা সমস্ত রকম ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম। কিন্তু বর্তমান গবেষণা রিপোর্টে নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ।