কাঠুয়া গণধর্ষণে সিটের তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর
কাঠুয়া গণধর্ষণে সিটের তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর
কাঠুয়াকাঠুয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিল জম্মুর একটি আদালত। প্রত্যক্ষদর্শীদের নির্মম ভাবে অত্যাচারের অভিযোগে কাঠুয়া গণধর্ষন কাণ্ডে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিটের প্রায় সমস্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে জম্মুর পুলিশ সুপারকে এফআইআরের নির্দেশ দিলেন ওই আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রেম সাগর।
২০১৮ সালের গোড়াতেই জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় বাকারওয়াল সম্প্রদায়ের ৮ বছরের একটি শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা কেন্দ্র করে বারংবার উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। যার রেশ গিয়ে পড়ে বিগত লোকসভা ভোটেও। মন্দিরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই নাবালিকাকে টানা চারদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ নাম জড়ায় কাশ্মীরেরই এক পুলিশ আধিকারিকের। এরপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। শাসক-বিরোধী সব দলের মধ্যেই শুরু হয় জোর রাজনৈতিক তরজা।
একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। সূত্রের খবর, তারপরই পুলিশ সুপার আর কে জাল্লা, সহ পুলিশ সুপার পীরজাদা নাভিদ, উপ পুলিশ সুপার সীতীম্বরি শর্মা, নিসার হোসেন, সাব-ইন্সপেক্টর উরফান ওয়ানি ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের কেওয়াল কিশোর এই বিশেষ তদন্তকারী টিমের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ইতিমধ্যেই সিটের এই ছয় সদস্যের মধ্যে পুলিশ সুপার আর কে জাল্লা অবসর নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই কাঠুয়া গণধর্ষকাণ্ডের প্রধান তিন প্রত্যক্ষদর্শী শচিন শর্মা, নিরাজ শর্মা ও সাহিল শর্মা এই ঘটনার তদন্তের সাপেক্ষে পুলিশি জেরা চলাকালীন সিটের তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। অন্যদিকে অভিযোগকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে এই মামলার প্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীরের উচ্চ ন্যায়ালয় ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামার কথাও উল্লেখ করতে দেখা যায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে।
সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে কোড অফ ক্রিমিনাল প্রোসিডিউরের ১৫৩তম ধারা অনুযায়ী সিটের ছয় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে জম্মুর পুলিশ সুপারকে দ্রুত এফআইআরের নির্দেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চেলেছে আগামী ১১ই নভেম্বর।
পাকিস্তানে ভাঙা হচ্ছে হিন্দু মন্দির, দাবি মানবাধিকার কর্মীর ফতিমার