আড়াই লক্ষ ছুই ছুঁই দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, গতকালের চেয়ে ২৭ শতাংশ বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
আড়াই লক্ষ ছুই ছুঁই দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, গতকালের চেয়ে ২৭ শতাংশ বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
গতকালের চেয়ে ২৭ শতাংশ বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। এক ধাক্কায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৪৭,৪১৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮,৮২৫ জন। পজিটিভিিট রেট বেড়ে হয়েছে ১৩.১১ শতাংশ। দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। তারপরেই রয়েছে দিল্লি। সব রাজ্যেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে।
আজই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের সব হাসপাতাল অক্সিজেন মজুত রাখতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে। যদিও করোনা সংক্রমণের কারণে এখনও পর্যন্ত তেমন হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়েনি। অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা তেমন নেই বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও গোটা দেশে ৫০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ২৬৫ জন মারা গিয়েছেন। শুধুমাত্র মুম্বই পুলিশেই মারা গিয়েছেন ১২৬ জন। মুম্বই পুলিশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২,১৪৫ জন। এদিকে আবার আজ থেকেই শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হচ্ছে। ২টিডোজের করোনা টিকা ছাড়া গঙ্গাসাগর মেলায় প্রবেশ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। কিন্তি তারপরেও গঙ্গাসাগর মেলা সুপার স্প্রেডারে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। সেই কারণে অনেকেই মেলা বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট মেলা করার অনুমতি দিয়েছে।
যদিও গবেষকরা দাবি করেছেন করোনা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিলেও সেটা মহামারীর শেষের শুরু অর্থাৎ ওমিক্রন সংক্রমণের পর থেকেই করোনা ভাইরাস ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে শুরু করবে। তবে গোটা বিশ্বেই ফের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। একাধিক দেশ পরিস্থিতি বুঝে লকডাউনের পথে হেঁটেছে। কিন্তু ভারতে এখনও লকডাইউন শুরু হয়নি। পকেট লকডাউন এবং মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় এই ভাবেই মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। একাধিক জায়গায় বাজার বন্ধ রাখা হচ্ছে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন। যাতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসে েসকারণেই এটা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকারগুলি। করোনা সংক্রমণের কারণে পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোটা দেশে শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজের টিকাকরণ। এমনকী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ১৫ বছর বয়সী থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণও শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে। তৎপরতার সঙ্গে করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ শেষ করার তোরজোর করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে গোটা দেশে করোনা পরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে গোটা দেশে করোনা টিকাকরণে জোর দিয়েছেন।