লকডাউনে রেড জোনে কীকী কাজকর্ম চলবে, জেনে নিন বিস্তারিত
লকডাউনে রেড জোনে কীকী কাজকর্ম চলবে, জেনে নিন বিস্তারিত
নতুন করে তৃতীয় দফার লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। সারা দেশে আরও দুই সপ্তাহ লকডাউন চলবে। আপাতত ৩ মে লকডাউন ২.০ উঠলে পরবর্তী ১৪ দিন নয়া লকডাউন চলবে। এক্ষেত্রে রেড জোনে কনটেইনমেন্ট এলাকার বাইরে কী কী কাজ কর্ম চলতে পারে তা দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
গাড়ি চলাচল
ব্যক্তিগত গাড়ি যা এই লকডাউন এর সময় রাস্তায় বের করার অনুমতি রয়েছে এমন গাড়ি চলাচল করতে পারে। চার চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুজন যাত্রী থাকতে পারেন চালক ছাড়া। এবং দু চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে একজন থাকবেন।
শিল্প এলাকায়
শহুরে এলাকায় শিল্প এলাকাগুলিতে অর্থাৎ যেখানে স্পেশাল ইকোনমিক জোন রয়েছে অথবা এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ইউনিট রয়েছে এমন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট অথবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য উৎপাদন, ওষুধ, ফার্মাসিউটিক্যালস, মেডিকেল ডিভাইস ইত্যাদি তৈরি করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি পাটশিল্পে, আইটি হার্ডওয়্যারে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনে শিফট বদলে কাজ শুরু করা যেতে পারে।
কনস্ট্রাকশনের কাজ
শহুরে এলাকায় কনস্ট্রাকশনের কাজ চালু করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কর্মীদের সেই স্থানেই রাখার কাজ করতে হবে। বাইরে থেকে কোনও শ্রমিককে আনা যাবে না। অন্যদিকে গ্রামীণ এলাকায় সব ধরনের কনস্ট্রাকশন কাজকর্ম করার ছাড় রয়েছে।
বাজারের নিয়ম
সমস্ত শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স এবং বাজার শহুরে এলাকায় বন্ধ থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিক্রয় হয় এমন দোকানগুলি খোলা থাকবে। সমস্ত পাড়া, আবাসন, কলোনি এলাকার একক দোকান খোলা থাকবে।
পণ্য ডেলিভারি
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে ইকমার্সের সুবিধা পাওয়া যাবে। বেসরকারি সংস্থায় ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত কর্মী নিয়ে কাজ চলতে পারে। বাকী কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন।
অফিসের ক্ষেত্রে
সরকারি অফিসেও ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার উপরে ১০০% উপস্থিতি থাকবে। তার নিচে কাজ করা কর্মীদের ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করানো হবে। তবে প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পুলিশ, হোমগার্ড, সংশোধনাগার এবং অন্যান্য আপৎকালীন পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কোনওরকম বিধি নিষেধ ছাড়াই কাজকর্ম করতে পারবেন।