করোনা ভাইরাসকে হাতিয়ার করে জামিনের আবেদন করলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের রানা কাপুর
করোনা ভাইরাসকে হাতিয়ার করে জামিনের আবেদন করলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের রানা কাপুর
করোনা আতঙ্ককে হাতিয়ার করে এবার জামিনের আবেদন করলেন ৩০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তা রানা কাপুর। জেলে থাকলে করোনা সংক্রমণ হতে পারে এই বলে রানা কাপুরের আইনজীবী সুভাষ যাদব আবেদন করলেন আদালতে।
ব্যাঙ্ক কর্তার হাজার রোগের কথা উল্লেখ
সেই দীর্ঘ পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে এই ব্যাঙ্ক কর্তার হাজারও রোগের কথা। সেখানে বলা হয়েছে, সাইনাসের ব্যথা তো ছিলই গত কয়েকদিনে ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে তাঁর মক্কেলের। চর্ম রোগও দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থ তছরুপে ইডির দায়ের করা মামলায় রানা কাপুর বর্তমানে নবি মুম্বইয়ের তালোজা জেলে রয়েছেন। জামিনের আবেদনে রানা কাপুর দাবি করেছেন যে তাঁর পুরনো সব রোগের কারণে জেলের মধ্যে তাঁর করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে। আদালতকে তিনি এও জানিয়েছেন যে তিনি গত দেড়বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ, উদ্বেগ এবং হতাশায় ভুগছেন।
রানা কাপুর ছোট থেকেই শ্বাসকষ্টে ভোগেন
রানা কাপুরের আইনজীবী আদালতকে জানান যে ছোটবেলা থেকেই তাঁর মক্কেল শ্বাসকষ্টে ভোগেন। অনেক ছোট বয়স থেকেই ইনহেলার তাঁর সঙ্গী। এই পরিস্থিতিতে ফুসফুসের সংক্রমণ যে জায়গায় গেছে তাতে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ৬২ বছরের রানা কাপুরকে জেলে পাঠানোর আগে ইডি হেফাজতে ছিলেন তিনি। জামিনের আবেদনে বলা হয়েছে, ‘উপস্থাপিত রোগটি মোকাবিলা এবং এই রোগটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আবেদনকারীকে সাবধানতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে এবং বাড়ির রান্না করা খাবার খেতে হবে। আবেদনকারীকে বাড়িতে থাকতে হবে।'
৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষের করোনা ঝুঁকি বেশি
জামিনের আবেদনের বিষয়টি সোমবারই শুনানি হবে আদালতে। ততদিন জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রানা কাপুরের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ঝুঁকি প্রবল। তার উপর যদি শরীরে রোগ থাকে বা প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাহলে প্রবল ঝুঁকি রয়েছে। হেফাজতে থাকা রানা কাপুরের জামিনের আবেদনে সেটিরও উল্লেখ করা হয়েছে।