করোনার দৈনিক সংক্রমণ ১.৫ হাজারের নীচে, দেশে আর সক্রিয় মাত্র ১৬ হাজার
দেশে আর করোনা সক্রিয় মাত্র ১৬ হাজার। করোনা থেকে সুস্থ হতে চলেছে ভারত। তরতরিয়ে কমছে সক্রিয়ে সংখ্যা। করোনার দৈনিক সংক্রমণ নেমে গিয়েছে দেড় হাজারের নীচে।
দেশে আর করোনা সক্রিয় মাত্র ১৬ হাজার। করোনা থেকে সুস্থ হতে চলেছে ভারত। তরতরিয়ে কমছে সক্রিয়ে সংখ্যা। করোনার দৈনিক সংক্রমণ নেমে গিয়েছে দেড় হাজারের নীচে। করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ আগেও নেমে গিয়েছিল ১৫০০-র নীচে। তারপর তা বেড়ে কদিন ১৭০০-র উপরে উঠে গিয়েছিল। এখন তা আবার নামল ১৪০০-য়।
তবে দেশের বুকে করোনায় মৃতের সংখ্যা বা মৃত্যু হার নিয়ে এখনও চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। করোনায় মৃতের সংখ্যা ওঠা-পড়া লেগেই রয়েছে দেশে। কখনও ৫০-র নীচে নেমে যাচ্ছে, আবার কখনও ১০০-র উপরে উঠে যাচ্ছে। সম্প্রতি করোনায় মৃতের সংখ্যা নেমে গিয়েছিল ৫০-এ। এদিন ফের তা বেড়ে হয়েছে ১৪৯। ফলে উদ্বেগ যাচ্ছে না কিছুতেই।
তবে করোনার দৈনিক সংক্রমণ গ্রাফে দেখা মিলেছে স্বস্তির ছবি। ভারতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ দেড় হাজারের নীচে নেমে গিয়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় করোনা একটু কমে ১৪ হাজারের সামান্য উপরে রয়েছে। একটা সময় প্রায় তিন লক্ষ করে দৈনিক সংক্রমণ হয়েছে। সেখানে এদিন দৈনিক সংক্রমণ নেমে গিয়েছে ১৪০০-য়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে ১৪২১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে করোনার মোট সংক্রমণ ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৫৩।
ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সুনামির আকার নিতে শুরু করেছিল সংক্রমণ। সেইসঙ্গে আবার দেশে করোনায় মৃত্যু সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল বহুগুণ। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১২০০-র উপরে উঠে গিয়েছিল একটা সময়ে। সেখান থেকে কমে ৫০-এর নীচে নেমে যায় করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা। এদিন করোনার দৈনিক মৃতের সংখ্যা একটু বেড়ে ১৪৯। করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫,২১,০৩৪-এ পৌঁছে গিয়েছে।
ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১ হাজার ৮২৬ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন, যা সারা দেশে মোট করোনামুক্তের সংখ্যাকে পৌঁছে দিয়েছে ৪,২৪,৮২,২৬২-তে। করোনামুক্তের সংখ্যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে প্রায় দেড়গুণ। এদিন করোনা সক্রিয় কমেছে ৫৫৪। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রিয়ের সংখ্যা ১৬ হাজার ১৮৭ জন। রবিবারের পরিসংখ্যানে দেশে সংক্রমণের গ্রাফ যথেষ্ট কমলেও মৃত্যুহার নিয়ে উদ্বেগ জারি রয়েছে।
করোনার দৈনিক সংক্রমণ, সংক্রমণের হার ও করোনা মুক্তের সংখ্যায় স্বস্তি ফিরেছে। কয়েকদিন ধরেই আতঙ্ক ছিল মৃতের সংখ্যা নিয়ে। কেরলে সংক্রমণ এখনও অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এদিনও করোনার সর্বোচ্চ সংখ্যা নথিভুক্ত হয়েছে কেরলে। কেরলে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৯৬ জন। সেখানে মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩৮ জন মাত্র। কর্নাটকে সংক্রমিত ৭৯ জন। আর বাংলায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬৬ জন। দিল্লিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১২০।
করোনার মোট সংক্রমণে শীর্ষ পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে সবার প্রথম মহারাষ্ট্র। তারপরে রয়েছে কেরল। কর্নাটক রয়েছে তিন নম্বরে। পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে ৭ নম্বরে। পশ্চিমবঙ্গের উপরে রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ। দৈনিক সংক্রমণে সবার উপরে কেরল। তারপর রয়েছে কর্নাটক, তারপর মহারাষ্ট্র।