নববর্ষের সকালে লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোন কোন বড় বার্তা দিলেন! দেখুন একনজরে
মহাভারতের যুদ্ধের সঙ্গে তিনি ২১ দিনের লকডাউনের তুলনা করেছিলেন। তবে ২১ দিন নয়, করোনার যুদ্ধে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যে থেকে ১৩০ কোটির দেশ লড়বে। আর এই বার্তাই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিজের বক্তব্যে কোন কোন বিষয় তুলে ধরেছেন, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
উৎসবের আবহে মোদীর শুভেচ্ছা বার্তা
মোদী এদিন ভাষণ শুরু করে বলেন, 'ভারত উৎসবের মাঝে ঘিরে থাকে, বৈশাখী, পয়লা বৈশাখ সহ অনেক রাজ্যে নতুন বছরের সূচনা হয়েছে। অনেকেই বাড়ির ভিতরে থেকে উৎসব পালন করছেন। যা লক্ষণীয়। সকলকে ধন্যবাদ। '
করোনা নিয়ে মোদীর বার্তা
' করোনা মহামারী কীভাবে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তা সকলেই জানেন। ভারতে তা কিছুটা আটকানো গিয়েছে। ভারতে যখন করোনার ঘটনা ছিল না তখন থেকেই ভারত বিদেশি যাত্রীদের আসা বন্ধ করেছে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। যখন আমাদের দেশে মাত্র ৫৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তখন থেকেই ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত বসে না থেকে তা থামানোর চেষ্টা করেছে। এটা এমন এক সঙ্কট যা কোনও দেশের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এটাও সত্য যে দুনিয়াভর বড় বড় দেশের পরিসংখ্যান যদি দেখেন তাহলে দেখবেন ভারত নিজেদের অনেকটাই সামলে নিতে পেরেছে।' বলেন মোদী।
ভিন দেশের সঙ্গে তুলনা
মোদী বলেন, ' অনেক দেশ যেখানে একসময়ে ভারতের মতোই আক্রান্ত ছিল, সেখানে এখন ভারতের থেকে ২৫ গুণ বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে। পরিস্থিতিকে আমরা যেভাবে সামলেছি সেটার লাভ আমরা পেয়েছি। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং ও লকডাউনের সুফল আমরা পেয়েছি।'
অর্থনীতি নিয়ে বার্তা
' অর্থনীতির দিক থেকে দেখলে অবশ্যই সমস্যা চোখে পড়বে। তা থেকে বেরোতে সময়ও লাগবে। তবে দেশবাসীর প্রাণের চেয়ে বড় কিছু নয়', বলেন মোদী।
লকডাউনে করোনা যুদ্ধ
প্রধানমন্ত্রী নিজের বাষণে জানান, 'বিভিন্ন রাজ্যগুলি দিনরাত চেষ্টা করেছে। ভালো কাজ করেছে। তবে করোনা যেভাবে ছড়িয়েছে তা সমস্ত দেশগুলিকে অনেক সতর্ক করে দিয়েছে। করোনা আটকাতে রাজ্যগুলির সঙ্গে নিরন্তর আলোচনা চলেছে। এবং সব রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে এটাই মনে হয়েছে যে লকডাউন বাড়ানো প্রয়োজন। '
৩ মে নিয়ে বড় ঘোষণা
'সমস্ত দিক নজর রেখে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হল। যেভাবে এখন লকডাউন পালন করা হয়েছে, সেভাবেই এরপরেও লক়ডাউন কার্যকর করুক সকলে। স্থানীয়ভাবে কেউ নতুন করে আক্রান্ত হলে সেটা অবশ্যই আমাদের কাছে চিন্তার বিষয় হবে।' বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০ এপ্রিল নিয়ে বার্তা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'করোনার লকডাউনে কঠোরতা আরও বাড়ানো হবে। সমস্ত এলাকায় কীভাবে করোনার পালন হচ্ছে তার নিরন্তর মূল্যায়ন হবে।যে এলাকাগুলিতে করোনার প্রকোপ কম থাকবে, সেখানে ২০ এপ্রিলের পর থেকে গতিবিধি শিথিল হবে। কিছুক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। তবে সেখানে আবার কিছু আক্রান্ত পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম কড়া করে দেবে হবে। এবং ঘর থেকে বেরোনোর নিয়ম আরও কঠোর হবে। '
দেশ কীভাবে লড়াই করছে!
প্রধানমন্ত্রী জানান, বুধবার সরকারের তরফে এই বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন জানিয়ে দেওয়া হবে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের জন্য কিছু ব্যবস্থার কথা জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ভারতের কাছে খাদ্য ভাণ্ডার পর্যাপ্ত রয়েছে। ফলে অযথা আতঙ্কিত হবেন না।ইতিমধ্যে ১ লক্ষ শয্যা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৈরি করা হয়েছে।
৭ টি বিশেষ নির্দেশ
মোদী জানান করোনার লকডাউনে কী কী করণীয়। তারমধ্যে ছিল, নিজের বাড়ির বয়স্কদের বিশেষ নজর রাখুন। এছাড়াও তিনি বলেন, লকডাউন ও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের পালন করুন। ঘরে তৈরি ফেস মাস্কের ব্যবহার করুন।
মোদীর গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
৭ টি বিশেষ ঘোষণা নিয়ে মোদী বলেন,
- নিজের ইমিউনিটি বাড়ানোর যে পরামর্শ আয়ুষ মন্ত্রক দিয়েছে তা পালন করুন।
- আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ অবশ্যই ডাউনলোড করুন।
- যতটা সম্ভব গরিব পরিবারের দেখভাল করুন।
- আপনার ব্যবসায় জড়িত লোকেদের কাউকে কাজ থেকে বের করে দেবেন না।
- করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা পুলিশ, চিকিতসক, নার্স সকলকে সম্মান করুন।