মূল্যবৃদ্ধি রোখাই অগ্রাধিকার, অর্থমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে বললেন অরুণ জেটলি
দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং পুঁজি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো।
তৃতীয় চ্যালেঞ্জ, আর্থিক বিকাশের গতিকে ত্বরান্বিত করা।
তিনটি চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে অর্থমন্ত্রকে কাজ শুরু করে দিলেন অরুণ জেটলি। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী হিসাবে প্রথম দিনই ডেকে পাঠালেন অফিসার-কর্মীদের। বললেন, নতুন উদ্যমে কাজে লাগতে হবে। রেজাল্ট চাই দ্রুত!
লোকসভা ভোটের আগে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বারবার আক্রমণ শানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কথা দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে ব্যবস্থা নেবেন। কথা রাখতে তাই অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন নিজের পরম আস্থাভাজন অরুণ জেটলির কাঁধে। জানা গিয়েছে, অর্থমন্ত্রকের অভিজ্ঞ অফিসারদের নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন অরুণ জেটলি। কীভাবে আগামী ছ'মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামবৃদ্ধিতে লাগাম পরানো যায়, তা খতিয়ে দেখবে ওই টাস্ক ফোর্স।
ভারতীয় অর্থনীতি গত দু'বছরে তুলনামূলকভাবে শ্লথ হয়ে গিয়েছে। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভরসা হারিয়েছেন। নতুন বিনিয়োগ না এলে স্বাভাবিকভাবে অর্থনীতির বিকাশ হবে না, থেমে যাবে কর্মসংস্থানও। তাই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, টাকার দামের নিম্নগতি রোধ ইত্যাদি আটকে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল চেহারা দিতে চান অরুণ জেটলি। তাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে।
আর মুদ্রাস্ফীতি আটকানো সম্ভব হলে, নতুন বিনিয়োগ টানতে পারলে আর্থিক বিকাশও দ্রুততর হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের আগে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির বার্ষিক হার ছিল ৯ শতাংশ। ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে তা কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৪.৫ এবং ৪.৯ শতাংশে।
কিন্তু আপনি কি অর্থমন্ত্রকে মন দিতে পারবেন? আপনার হাতে তো প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্বও রয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে অরুণ জেটলি বলেছেন, "প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব সাময়িক। এটা অতিরিক্ত দায়িত্ব। যতদিন না ক্যাবিনেটের সম্প্রসারণ হচ্ছে, ততদিন দু'টো মন্ত্রকের কাজই আমাকে চালাতে হবে।" তাঁর কথায় পরিষ্কার, অদূর ভবিষ্যতে নরেন্দ্র মোদী ক্যাবিনেটের সম্প্রসারণ করবেন এবং তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কোনও নতুন মুখ আনবেন।