একের পর এক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদল, দেশের রাজনীতিতে ট্রেন্ড পরিবর্তন কোন দিকে ইঙ্গিত করছে
একের পর এক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদল, দেশের রাজনীতিতে ট্রেন্ড পরিবর্তন কোন দিকে ইঙ্গিত করছে
বদলের রাজনীতি চলছে ভারতে। বিজেপি থেকে কংগ্রেস। একের পর এক রাজ্যে পর পর মুখ্যমন্ত্রী বদলের ট্রেন্ডে অনেক প্রশ্ন সামনে এনে দিয়েছে। বিজেিপ হাত ধরেই এই ট্রেন্ড প্রথম শুরু হয়। উত্তরাখণ্ডে প্রথম পর পর ২ বার মুখ্যমন্ত্রী বদল করে বিজেপি। তারপরেই কংগ্রেসও সেই স্রোতে গা ভাসাতে শুরু করেছে। ভোট মুখি একাধিক রাজ্যে এই মুখ্যমন্ত্রী বদলের প্রবণতা নতুন এক রাজনৈতিক ট্রেন্ড শুরু করে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বদল
একের পর এক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদলের প্রবণতা বাড়ছে। শুরুটা হয়েছিল উত্তরাখণ্ড দিয়ে। সেখান পর পর দুবার মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হয়। বিজেপির অন্দরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিবাদ চরমে উঠেছিল। তারপর পরেই আবার কর্নাটকে। দাপুটে বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে দলের অন্দরেই বিদ্রোহ মাথাচারা দিয়েছিল। প্রশ্ন তুলেছিলেন ইয়েদুরাপ্পার দক্ষতা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত আড়াই বছরের মাঝায় ইয়েদুরাপ্পাকে বদলে বোম্মাইকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় বিজেপি। তার কয়েক সপ্তাহ েযতে না যেতেই গুজরাত। একেবারে বিজেপির আঁতুরঘর যাকে বলে সেখানেই ধাক্কা আসে। বিজয় রূপানির হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত শোরগোল ফেলে দিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তারপরেই রূপানির জয়গায় বসানো হয় ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে।
বদলের ট্রেন্ড কংগ্রেসের ঘরেও
২০১৯-র লোকসভা ভোটের পর থেকেই বদলের ট্রেন্ড শুরু হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের ঘরেও। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগ দান সেই বদলের সূচনা করে দিয়েছে। তারপরে একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসের অন্দরে বিদ্রোহ মাথাচারা দিয়েছে। রাজস্থানে গেহলট সরকারের পতন হতে হতেও হয়নি। তবে সম্ভাবনা যে একেবারেই চলে গেছেএমন বলা যায় না। কারন সচিন পাইলট একেবারেই হাতের মধ্যে নেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের। তারমধ্যেই আবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের পদত্যাগ চমকে দিেয়ছে সকলকে। ভোটমুখী রাজ্য পাঞ্জাব তার ঠিক আগেই মুখ্যমন্ত্রী বদলের সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের পক্ষে কতটা ইতিবাচক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে আবার ছত্তিশগড়েও বদলের সুর উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরে। ভূপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন দলেরই বিধায়করা। ভূপেশ বাঘেলকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছেন তাঁর স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে জোর টানাপোড়েন চলছে ছত্তিশগড়ে।
দলবদলের রাজনীতি
বাংলায় বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই বদলের রাজনীতি আরও চড়ে বসেছে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে একের পর এক নেতা মন্ত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী,রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একের পর এক বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান শোরগোল ফেলে দিয়েছিল বাংলার রাজনীতিতে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের জয় সেই দল বদলের সমীকরণে ধাক্কা খায়। তার পরে আবার মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরা। কয়েকদিন আগে দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান বিজেপি শিবিরে বড় ধাক্কা এনেছে। মোদীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এমনই শোনা যেত কানপাতলে। ওদিকে আবার অসমে সুস্মিতা দেববর্মনের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ আরও এক সমীকরণ তৈরি করে দিয়েছে।