স্মার্ট সিটি প্রকল্পে শিলং! ৯০:১০ অনুপাতে কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি মেঘালয়ের
আগের সরকারের নীতি অনুসরণ করে, মেঘালয়ের নতুন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সরকার স্মার্ট সিটি প্রকল্পে ৯০: ১০ অনুসারে কেন্দ্রীয় সাহায্যের দাবি করেছে।
আগের সরকারের নীতি অনুসরণ করে, মেঘালয়ের নতুন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সরকার স্মার্ট সিটি প্রকল্পে ৯০: ১০ অনুসারে কেন্দ্রীয় সাহায্যের দাবি করেছে। দেশের চতুর্থ রাউন্ডের স্মার্ট সিটির পরিকল্পনার তালিকায় রয়েছে রাজধানী শিলং। কিন্তু এখনও প্রস্তাব জমা দেয়নি রাজ্য।
জানুয়ারিতে কেন্দ্রের তরফে ৯ টি স্মার্ট সিটির চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হয়। সরকার সময় মতো প্রস্তাব জমা না দেওয়ায় দশম স্থানটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল শিলং-এর জন্য।
শিলংয়ে মেঘালয়ের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হেমলেট ডোহলিং জানিয়েছেন, সম্পদের অভাবের কারণে রাজ্য সরকার স্মার্ট সিটি প্রকল্পে ৯০: ১০ অনুপাতে অর্থপ্রদানের ওপর জোর দেবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, পাহাড়ি এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সমতল এলাকার মতো সহজ নয়।
পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ৯০: ১০ অনুপাতে বিনিয়োগের বোঝা শেয়ার করতে চেয়েছিল। স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য বর্তমান অর্থ বিনিয়োগের অনুপাত ৫০:৫০।
উত্তরপূর্বাঞ্চলের জন্য ৯০:১০ অনুপাতে অর্থের চাহিদা নতুন নয়। ত্রিপুরার পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ২০১৬ সালে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য একটি পৃথক তহবিল নীতি গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। স্মার্ট সিটি মিশনের অধীনে কেন্দ্রটি প্রতিটি প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছিল।
স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় থাকা উত্তরপূর্বের অন্য শহরগুলির মধ্যে রয়েছে, গুয়াহাটি (অসম), ইম্ফল (মণিপুর), আগরতলা (ত্রিপুরা), কোহিমা (নাগাল্যান্ড), আইজল (মিজোরাম), পাসিঘাটা ও ইটানগর (অরুণাচল প্রদেশ) এবং গ্যাঙটক ও নামচি(সিকিম)।
স্মার্ট সিটি মিশনের সর্বোচ্চ শাখার প্রথম বৈঠক হবে ২১ এপ্রিল, বিশাখাপত্তনমে।