অগ্নিপথ প্রকল্পের সমর্থনে নিবন্ধ প্রভাবশালী কংগ্রেস সাংসদের! উসকে দিলেন দলবদলের জল্পনা
সেনাবাহিনীতে চাকরির অগ্নিপথ প্রকল্পের (agmipath scheme) বিরোধিতায় যখন কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস (Congress) পথে নেমেছে, সেই সময় তাদেরই দলের এক সাংসদ (Member of Parliament) নিবন্ধ লিখলেন। পঞ্জাব থেকে নির্বাচিত
সেনাবাহিনীতে চাকরির অগ্নিপথ প্রকল্পের (agmipath scheme) বিরোধিতায় যখন কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস (Congress) পথে নেমেছে, সেই সময় তাদেরই দলের এক সাংসদ (Member of Parliament) নিবন্ধ লিখলেন। পঞ্জাব থেকে নির্বাচিত ওই সাংসদ এই অবস্থান নেওয়ার পরেই কংগ্রেস তাদের অবস্থান জানান দিয়ে বলেছেন, ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছেন মনীশ তিওয়ারি (Manish Tiwati)।
আমেরিকার সংস্কারের কথা উল্লেখ
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মনীশ তিওয়ারি বলেছেন, ১৯৭৫ সালে আমেরিকায় প্রতিরক্ষা সংস্কার শুরু হয়েছিল। সেই সময় ডোনাল্ড রামসফেল্ড ফোর্ড প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সচিব ছিলেন। তিনি বলেছেন, রামসফেল্ড সশস্ত্র বাহিনীকে ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে ভিত্তি তৈরিকরেছিলেন, কেননা তিনি ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রকৃতি কল্পনা করতে পেরেছিলেন।
সেনাবাহিনীতে সংস্কার করেছিল চিনও
এই
মুহূর্তে
যুদ্ধক্ষেত্রে
ভারতের
সব
থেকে
বড়
প্রতিদ্বন্দ্বী
চিন।
মনীশ
তিওয়ারি
বলেছেন,
সেই
চিন
১৯৮৫
সাল
থেকে
পিএলএ-র
সংখ্যা
কমাতে
শুরু
করেছিল।
তিনি
বলেছেন,
পিপলস
লিবারেশন
আর্মি
১৯৮৫
সালে
১০
লক্ষ,
১৯৯৭
সালে
৫
লক্ষ,
২০০৩
সালে
২
লক্ষ,
২০১৫
সালে
৩
লক্ষ
আর
২০১৭
সালে
৫০
শতাংশ
অর্থাৎ
২০
লক্ষ
থেকে
কমিয়ে
সদস্য
১০
লক্ষ
করেছে।
জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা সংস্কার প্রয়োজন
মনীশ
তিওয়ার
তাঁর
বাই
১০
ফ্ল্যাশ
পয়েন্টস
২০
ইয়ার্সের
উল্লেখ
করেছেন
দেশে
কেন
জরুরি
ভিত্তিতে
প্রতিরক্ষা
সংস্কার
প্রয়োজন।
তিনি
বলেছেন,
প্রতিরক্ষা
একটি
বৃহত্তর
কৌশলের
অংশ,
যা
শুধু
অভ্যন্তরীণ
পুনর্গঠনে
সীমাবদ্ধ
থাকে
না।
তিনি
লিখেছেন,
ভারতের
প্রতিরক্ষা
ব্যয়ে
প্রতি
এক
টাকায়
২৫
পয়সা
যায়
শুধু
পেনশন
দিতে।
এছাড়াও
বেতনেও
চলবে
যায়
বড়
অংশ।
ফলে
আধুনিকীকরণের
জন্য
সামান্য
অংশই
পড়ে
থাকে।
তিনি
উল্লেখ
করেছেন
সরকার
যে
সংস্কারগুলি
বাস্তবায়িত
করছে
তা
১৯৯৯
সালে
কারগিল
পর্যালোচনা
কমিটির
সুপারিশ
অনুযায়ী।
সেই
সুপারিশ
যাচাই
করতে
মন্ত্রীদের
নিয়েও
দল
তৈরি
করা
হয়েছিল।
তাঁরাও
সংস্কারকে
সমর্থন
করেছেন।
এছাড়াও
নরেশ
চন্দ্র
কমিটিও
অনেক
সুপারিশ
কার্যকর
করতে
মত
দিয়েছিল।
মনীশ তিওয়ারির অবস্থান কংগ্রেসের বিপরীত
পঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিবের কংগ্রেস সাংসদ অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে যে অবস্থান নিয়েছেন, তা দলের বিপরীত অবস্থান। গত সপ্তাহেই তিনি টুইট করে বলেছিলেন, যুবকরা যাঁরা অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করছে, তাঁদের সঙ্গে তিনি সহানুভূতি প্রকাশ করেও বলছেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে তরুণদের প্রয়োজন। যেখানে প্রযুক্তিহবে আধুনিক। আ্রর সেনাবাহিনীকেও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হতে হবে।
মনীশ তিওয়ারির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক
দীর্ঘদিন ধরেই রাহুল-সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নেই মনীশ তিওয়ারির। একটা সময় তিনি কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধদের দলে নামও লিখিয়েছিলেন। সেই বিক্ষুব্ধদের দল থেকে অশ্বিনী কুমার, কপিল সিবালের মতো নেতারা পুরোপুরি দল ছেড়েছেন। ওই দলবদলের সময়মনীশ তিওয়ারি বলেছিলেন এখনই দল ছাড়ার পরিকল্পনা নেই। তবে পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধী মন্তব্যের বিরোধিতা করে মনীশ তিওয়ারি বলেছিলেন, সরকার চালাতে অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক রাখার অভিযোগ মিথ্যা।