মমতার কথা না শুনে কেন্দ্রকে টক্কর দিয়ে গিয়ে অপদস্থ হল কংগ্রেস
মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রকে সরাতে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আনার তোড়জোড় করে কংগ্রেস। এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও পরে পিছিয়ে আসে।
সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতি অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে। গণতন্ত্রহীনতা ও বিচারব্যবস্থায় অচলাবস্থার অভিযোগ ছিল মুখ্যত। যার প্রেক্ষিতে পরে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়। কেন্দ্র সরকার আইনি ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
[আরও পড়ুন: ই-নোমিনেশনে মান্যতা হাইকোর্টের, পঞ্চায়েত মামলায় যুগান্তকারী রায়ে বিজয়ী সিপিএম]
কংগ্রেসের নেতৃত্বে সাতটি দল আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে শীর্ষ আদালতের মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রকে সরাতে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আনার তোড়জোড় করে। এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও পরে পিছিয়ে আসে।
কংগ্রেস-আরজেডি সহ বিরোধী দলগুলি মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রকে সরাতে ইমপিচমেন্ট নোটিশ দিলে তাতে সই করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পরে এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টই জানিয়ে দেন, কংগ্রেস জোর করে দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আনছে। এভাবে তাঁকে সরানো যাবে না। বিরোধীদের সেই জোর নেই। তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র চমক দিতে ইমপিচমেন্ট আনা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, মমতা জানিয়েছেন, তাঁকে ইমপিচমেন্টে সমর্থনের কথা জানালে তিনি সরাসরি রাহুল গান্ধী ও সনিয়া গান্ধীকে এই ইমপিচমেন্ট না আনার কথা জানান। বলে দেন, এটা ফলপ্রসূ করার মতো জোর বিরোধীদের এখনই নেই। তাই প্রচেষ্টা করলেও তা ব্যর্থই হবে। এবং শেষ অবধি সেটাই সত্যি হল। মমতার কথা না শুনে শেষে শীর্ষ আদালতে আবেদন ফিরিয়ে নিতে হল কংগ্রেসকে। এবং বিজেপির সামনে অপদস্থ হতে হল।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তি বাড়ালেন বিজেপির দুই সভাপতি, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ]