মধ্যপ্রদেশে বিজেপিকে ধাক্কা কংগ্রেসের! মোদীর শেষের শুরু, বলছে রাহুলের দল
মধ্যপ্রদেশে পুর নির্বাচনে ধাক্কা বিজেপির। ১৩ জেলায় ছড়িয়ে থাকা পুরসভাগুলির ১৪ টি আসনের উপনির্বাচনে কংগ্রেস দখল করেছে ৯ টি আসন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কংগ্রেস বিজেপির থেকে ৩ টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে পুর নির্বাচনে ধাক্কা বিজেপির। ১৩ জেলায় ছড়িয়ে থাকা পুরসভাগুলির ১৪ টি আসনের উপনির্বাচনে কংগ্রেস দখল করেছে ৯ টি আসন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কংগ্রেস বিজেপির থেকে ৩ টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে। শাসক বিজেপি জিতেছে মাত্র ৪ টি আসনে। একটি আসন দখল করেছে নির্দলীয়রা। এই আসনগুলিতে নির্বাচন হয়েছিল ৩ অগাস্ট।
কয়েকমাস পরেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে চলছে প্রস্তুতি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে নির্বাচনে ধাক্কা খেল শাসক বিজেপি। মোদীর দলের কাছ থেকে ৩ টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে রাহুলের দল। রাজ্যের ১৩ টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা পুরসভাগুলির ১৪ টি আসনের উপনির্বাচন হয়েছিল ৩ অগাস্ট। সেখানে কংগ্রেস পেয়েছে নটি আসন। কংগ্রেসের দাবি, নির্বাচনের এই ফল প্রমাণ করে, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের জনপ্রিয়তা কমছে। পাল্টা বিজেপির দাবি, এই নির্বাচন দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা যাচাই করা যায় না।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট কমলনাথ বলেছেন, নটি ওয়ার্ডে কংগ্রেসের জয় এবং পঞ্চায়েতে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের জয় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের মুখোশ খুলে দিয়েছে। উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা দাবি করছেন বলেও দাবি করেছে কংগ্রেস। রাজ্যে বিজেপি সরকারের শেষের শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাজ্য বিজেপি মুখপত্র রাজনীশ আগরওয়াল বলেছেন, স্থানীয় নির্বাচনে লড়াই করেছে স্থানীয় নেতৃত্ব। কেননা দল ব্যস্ত রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জন আশীর্বাদ যাত্রায়, দলের সম্মেলন আর বুথ পর্যায়ের বৈঠকে। স্থানীয় নির্বাচনে লড়াই হয়, স্থানীয় ইস্যুকে সামনে রেখে। সেখান থেকে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এই উপনির্বাচনের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী দামো, দাতিয়া, ভিন্দ, অনুপ্পুর, সাতনা জেলায় গিয়েছিলেন। এর মধ্যে বিজেপি প্রার্থীরা জিতেছেন দামো, দাতিয়া, অনুপ্পুরে। কিন্তু সাতনায় হেরে গিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী।
ভোট বিশ্লেষকরাও বলছেন, ছোট ভোটের ফলাফল ধর্তব্যের মধ্যে আনাই ভাল। তবে এই ফলাফল কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কেননা গত প্রায়.য় ১৫ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে কংগ্রেস।