মরুঝড়ে তছনছ কংগ্রেস, রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বসুন্ধরা
রাজস্থানে কংগ্রেসকে 'ইতিহাস' বানিয়ে দিয়ে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। ১৯৯ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় বিজেপি একাই পেল ১৬২টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ২১টি আসন। অন্যান্যরা পেয়েছে ১৬টি আসন। যেখানে সরকার গড়তে দরকার ১০০টি আসন, সেখানে বিজেপি অনায়াসে ঝুলিতে ভরে ফেলেছে ১৬২টি আসন। রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া।
সকাল আটটায় ভোট গণনা শুরু হওয়ার পরই বোঝা গিয়েছিল, হাওয়া অন্যদিকে বইছে। একের পর এক আসনে বিজেপি প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন বলে খবর আসতে থাকে। কিন্তু, কংগ্রেস দাবি করেছিল, বেলা গড়ালে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। পরিস্থিতি ঠিক তো হলই না, উলটে বিগড়ে গেল। ২০০৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৯৬টি আসন পেয়েছিল। তার অর্ধেকও এবার পায়নি। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট নিজে সর্দারপুরা কেন্দ্র থেকে জিতলেও অন্যান্য মন্ত্রীরা সুবিধা করতে পারেননি। গতবার বিজেপি যেখানে ৭৮টি আসন পেয়েছিল, সেখানে এবার তারা পেল দ্বিগুণ আসন। রাজ্যে দলের ভরাডুবির পর অশোক গেহলট সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা ভালো কাজ করেছিলাম। তা সত্ত্বেও যে রাজ্যে চোরাস্রোত তৈরি হয়েছে, সেটা বুঝতে পারিনি। এই চোরাস্রোতের কারণেই হেরে গেলাম।" ওয়াকিবহাল বহল অবশ্য 'মোদী ফ্যাক্টর'-কেও দায়ী করছে। মরুরাজ্য রাজস্থান বিজেপি-র কাছে ছিল মানসম্মানের প্রশ্ন। কারণ, এখানে দলীয় কোন্দলে বিজেপি জেরবার হওয়ায় কংগ্রেস প্রচার করেছিল, গেরুয়া শিবির শেষ। এর জবাব দিতে চেষ্টার কসুর করেনি বিজেপি। নরেন্দ্র মোদীকে এনে অনেকগুলি জনসভা করিয়েছিল বিজেপি।
এই প্রবণতা যদি লোকসভা ভোটেও ধরে রাখতে পারে বিজেপি, তবে দিল্লি দখল নরেন্দ্রী মোদীর কাছে অনেক সহজ হয়ে যাবে।