মোদী-রাজ্যে ২৭ বছরের দুর্নীতির ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হল, বিজেপিকে নিশানায় কংগ্রেস
২০২২-এর শেষেই মোদী-রাজ্য গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার আগে গুজরাতের পুরনো সচিবালয়ে ঘটে গেলর অগ্নিকাণ্ড। পুরো সচিবালয় পুড়ে ক্ষার। আর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কংগ্রেস একহাত নিল বিজেপিকে।
২০২২-এর শেষেই মোদী-রাজ্য গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার আগে গুজরাতের পুরনো সচিবালয়ে ঘটে গেলর অগ্নিকাণ্ড। পুরো সচিবালয় পুড়ে ক্ষার। আর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কংগ্রেস একহাত নিল বিজেপিকে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি সচিবালয়ের ২৭ বছরের দুর্নীতির সমস্ত পাই পুড়িয়ে দিল পরিকল্পনা করে।
গুজরাতের সচিবালয়ের আগুনে বহু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুড়েছে। নির্বাচনের ঠিক আগে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। সচিবালয়ে এই আগুন লাগার পর কংগ্রেস ব্যাখ্যা করেছে, বিজেপি খুব সচেতন। ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না বুঝেই দুর্নীতির সমস্ত ফাইল লোপাট করে দিল এভাবে। ২৭ বছর ধরে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার ফাইল পুড়ে সাফ করে দেওয়া হল বলে কংগ্রেস হিন্দিতে টুইট করে।
শুক্রবার গান্ধীনগরে গুজরাতের পুরাতন সচিবালয়ে আগুন লাগার পর কংগ্রেস অভিযোগ করে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২৭ বছরের দুর্নীতি আড়াল করার জন্য সরকারি ফাইলগুলি পুড়িয়ে দেওয়ার বিজেপি সরকার পুড়িয়ে দিচ্ছে। গুজরাতে সরকারি ফাইল পুড়তে শুরু করেছে। নির্বাচনের ঠিক আগে এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক মহল।
গুজরাতে এই বছরের শেষেই ভোট। নভেম্বর শেষ বা ডিসেম্বরের শুরুতেই ভোট হবে। তার আগে সচিবালয়ে আগুন গুজরাতে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করল। এবার মোদী-রাজ্য ভোটে বিদেপি বনাম কংগ্রেসের মধ্যে চলে এসেছে আপ ফ্যাক্টর। আম আদি পার্টি মোদী রাজ্যে পা দিয়েছে। ফলে এবার ত্রিমুখী ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ আম আদমি পার্টি ফ্যাক্টর হতে পারে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনী ফলাফলে।
গতবার খুব স্বল্প ব্যবধানে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল বিজেপি। কংগ্রেস একেবারে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছিল। বেশ কিছু আসনে কংগ্রেস হেরেছিল সামান্। ব্যবধানে। সেগুলি উল্টে গেলে সরকারও উল্টে যেতে পারত। তারপর এবার আবার আম আদমি পার্টি এসে গিয়েছে। ফলে তাঁরা কাদের ভোট কাটবে আর কাকে সুবিধা করে দেবে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে শাসক-বিরোধী দু-পক্ষই।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাতে থাকাকালীন আবেদন করেছিলেন, কংগ্রেসকে কোনও রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে দিলে হবে না। আমেদাবাদের জাঞ্জারকা গ্রাম থেকে গৌরব যাত্রা শুরু করে তিনি এক সমাবেশে ভাষণ দেন। কংগ্রেস বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভোটারদের জাত ও ধর্মের ভিত্তিতে ভোট বিভাজনের চেষ্টা করছে। তাদেরকে রুখে দিতে হবে। কংগ্রেসের পাতা ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। কংগ্রেস কখনও উন্নয়ন করেনি। এখন ক্ষমতায় আসতে জাতপাতের রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে।