লোকসভা ভোটে হারের কারণ অবশেষে খুঁজে পেল কংগ্রেস, পরিবারতন্ত্রে দেখা দিয়েছে সিঁদুরে মেঘ
পরিবারতন্ত্রই কংগ্রেসের কফিনে পেরেক পুতে দিয়েছে। বংশপরম্পরায় রাজনীতি বিপদ ডেকে এনেছে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের অনুসন্ধান কমিটির এই রিপোর্টেই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন সোনিয়া-রাহুলরা।
পরিবারতন্ত্রই কংগ্রেসের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে। বংশপরম্পরায় রাজনীতি বিপদ ডেকে এনেছে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের অনুসন্ধান কমিটির এই রিপোর্টেই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন সোনিয়া-রাহুলরা। তাহলে কী হবে কংগ্রেসের। এমনিতেই রাহুল-সোনিয়া ছাড়া নেতা মিলছে না। তারপর রাহুলদের একপ্রকার 'রিজেক্ট' করেছে কংগ্রেসের কমিটি।
কংগ্রেস মানেই গান্ধী, গান্ধী মানেই কংগ্রেস
কংগ্রেস মানেই গান্ধী পরিবার। আর গান্ধী পরিবার মানেই কংগ্রেস। এটাই যেন ধ্রুব সত্য হয়ে গিয়েছ মহাত্মা গান্ধী-মতিলাল নেহরু থেকে শুরু। তারপর বংশপরাম্পরায় চলে আসছে কংগ্রেসি নেতৃ্ত্ব। মতিলাল নেহরুর পর তাঁর পুত্র জওহরলাল নেহরু, তারপর নেহরু-কন্যা ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু রাহুলদের বংশপরম্পরা। ইন্দিরার পর পুত্র রাজীব-সঞ্জয়, হালে সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।
ব্যাটন থেকেছে গান্ধী পরিবারের হাতেই
স্বাধীনোত্তরকালে কংগ্রেসের ব্যাটন ঘোরাফেরা করেছে সেই গান্ধী পরিবারের হাতেই। খুব সামান্য সময়ে অন্য হাতে গেলেও ফের তা ফিরে এসেছে গান্ধী পরিবারের কারও হাতে। আর এটাই নাকি গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের হারের জন্য দায়ী। লোকসভা ভোটে এই পরিবারতন্ত্রই ভরাডুবি করে ছেড়েছে কংগ্রেসের।
কেন কংগ্রেসের এমন ভরাডুবি, রিপোর্ট পেশ
এবার সে অর্থে মোদী হাওয়া না থাকা সত্ত্বেও কেন কংগ্রেসের এমন ভরাডুবি হল। সেই কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল কংগ্রেস। সেই অনুসন্ধান কমিটিই রিপোর্ট দিয়েছে বংশপরম্পরায় রাজনীতিই কংগ্রেসকে ডুবিয়ে ছাড়ছে। তাহলে কী হবে ভবিষ্যৎ, প্রশ্ন চিহ্ন উঠে পড়ল কংগ্রেসকে নিয়ে।
কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলে দেওয়া রিপোর্ট
সামনেই মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট। বিজেপির কাছ থেকে দুই রাজ্য ছিনিয়ে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে যখন, তখন এমন রিপোর্ট সামনে এল, যা কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলে দেবে। কংগ্রেসকে এখন ভাবতে হবে, গান্ধী পরিবারকে বাদ দিয়ে কীভাবে নির্বাচনে ভালো ফল করা যায়।
রাহুল সরলেও বিকল্প নাম পায়নি কংগ্রেস
লোকসভা ভোটে হারের দায় নিযে রাহুল সরে গিয়েছেন সভাপতি থেকে। তিনি নিজে দাবি করেছিলেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ কংগ্রেসের দায়িত্ব নিন। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও বিকল্প কোনও নাম আসেনি। রাহুল ফিরতে রাজ না হওয়ায় শেষমেশ অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হয়েছে সোনিয়া গান্ধী।
কংগ্রেসে এখন বিকল্প খোঁজাই জরুরি
লোকসভা ভোটে রাহুল চেষ্টা করেছিলেন মোদীবিরোধী মুখ হয়ে উঠতে। কিন্তু তিনি পারেননি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সামনে এনেছিলেন প্রচার আরও জোরদার করতে। তারপরও কংগ্রেসের পালে হাওয়া লাগেনি। সেই ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। এবারও প্রধান বিরোধী মর্যাদা পাওয়ার মতো আসনও সংগ্রহ করতে পারেনি। এই অবস্থা কংগ্রেসে এখন বিকল্প খোঁজাই জরুরি বলে রিপোর্টে প্রকাশ।