কংগ্রেসের শাসন বর্বতার দিকে থেকে বিদেশিদের পিছনে ফেলেছে! জরুরি অবস্থার ৪৭ তম বার্ষিকী স্মরণ অমিত শাহের
দেশে জরুরি অবস্থার (emergency) ৪৭ তম বর্ষ পূর্তি। ১৯৭৫-এর আজকের দিনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi)। যা নিয়ে এদিন কংগ্রেসকে (Congress) তীব্র নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স
দেশে জরুরি অবস্থার (emergency) ৪৭ তম বর্ষ পূর্তি। ১৯৭৫-এর আজকের দিনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi)। যা নিয়ে এদিন কংগ্রেসকে (Congress) তীব্র নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
|
অমিত শাহের টুইট
কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিন
টুইট
করে
বলেছেন,
১৯৭৫
সালের
এই
দিনে
কংগ্রেস
ক্ষমতার
জন্য
প্রত্যেক
ভারতবাসীর
সাংবিধানিক
অধিকার
কেড়ে
নিয়ে
জরুরি
অবস্থা
জারি
করেছিল।
তিনি
বলেছেন,
কংগ্রেস
শাসন
বর্বতার
দিক
থেকে
বিদেশি
শাসনকে
পিছনে
ফেলে
দিয়েছে।
তিনি
সেই
দেশপ্রেমিকদের
শ্রদ্ধা
জানাচ্ছেন,
যাঁরা
গণতন্ত্র
পুনঃপ্রতিষ্ঠা
করতে
এবং
স্বৈরাচারী
মানসিকতাকে
পরাস্ত
করতে
সর্বস্ব
উৎসর্গ
করেছিলেন।
১৯৭৫-এর ২৫ জুনের মধ্যরাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
১৯৭৫
সালের
২৫
জুন
মধ্যরাতে
তৎকালীন
রাষ্ট্রপতি
ফখরুদ্দিন
আলি
আহমেদ
সংবিধানের
৩৫২
অনুচ্ছেদের
অধীনে
জরুরি
অবস্থা
ঘোষণা
করেন।
১৯৭১-এর
লোকসভা
নির্বাচনের
জয়কে
অবৈধ
ঘোষণার
পরে
তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রীর
ইন্দিরা
গান্ধীর
পদত্যাগ
দাবি
করে
দেশব্যাপী
তীব্র
বিক্ষোভের
মুখোমুখি
হওয়ার
পরে
জরুরি
অবস্থা
জারি
করা
হয়।
তবে
সেই
সময়ের
ইন্দিরা
গান্ঘী
সরকার
পাকিস্তানের
সঙ্গে
শেষ
হওয়া
যুদ্ধের
কথা
তুলে
ধরে
জাতীয়
নিরাপত্তায়
হুমকির
কথা
উল্লেখ
করেছিল
জরুরি
অবস্থা
জারির
ক্ষেত্রে।
এই
জরুরি
অবস্থাকে
দেশের
অতিহাসে
একটি
অন্ধকার
সময়
বলে
বিবেচনা
করা
হয়ে
থাকে।
সেই
সময়ে
মানবাধিকার
লঙ্ঘন,
সেন্সরশিপ
ছাড়াও
বহু
মানুষকে
জেলবন্দি
করা
হয়েছিল।
১৮ মাস পরে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও কংগ্রেসের হার
তবে ১৮ মাস পরে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। আর ১৯৭৭ সালে নতুন নির্বাচন করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের জন্য কংগ্রেস ক্ষমতা বাইরে চলে যায়। শুধু তাই নয়, ইন্দিরা গান্ধী রায়বরেলি থেকে এবং সঞ্জয় গান্ধী আমেথি থেকে পরাস্ত হন।
|
কংগ্রেসকে কটাক্ষ বিজেপির
এদিন বিজেপির তরফে একযোগে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করা হয়েছে। গেরুয়া শিবির বলেছে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির ওপরে আক্রমণ কেউই ভুলতে পারবেন না। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, বিজেপি সেইসব বীরদের স্মরণ করে, যাঁরা ভারতের দণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন।
অন্যদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, জরুরি অবস্থা ভারতের গণতন্ত্রের ভয়াবহতা আৎ অন্ধকার দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, যাঁরা গণতন্ত্রের কথা বলে চিৎকার করছেন, তাঁদের ইতিহাসের পাতা উল্টানো উচিত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেছেন, ২৫ জুন দিনটি ভারতের গণতন্ত্রে একটি কালো দিন। ক্ষমতার জন্য শুঙার্ত শাসক নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করেছিলেন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করেছিলেন এবং জরুরি অবস্থা জারি করার জন্য বিচার বিভাগকেও দুর্বল করেছিলেন।
'নীলকণ্ঠ মোদী দু'দশক পীড়া সয়েছেন'! সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে গুজরাতের ঘটনার স্মৃতিচারণ অমিত শাহের