নীতীশের বিরুদ্ধে রণনীতি প্রস্তুত তেজস্বীর, প্রকাশিত আরজেডি-কংগ্রেসের নির্বাচনী হাতিয়ার
কংগ্রেস, আরজেডি এবং বাম দলগুলির নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ হল এদিন। বিজেপি-জেডিইউ জোটের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছে এই শক্তিশালী জোট। নীতীশ কুমারের ১৫ বছরের শাসনকালকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষেত্রে এই জোটকেই এগিয়ে রাখা হয়েছে বিহারে। যদিও বিহার নির্বাচনে এবার জোটের ছড়াছড়ি। আরজেডি-কংগ্রেস মহাজোট ছাড়াও ক্ষমতার লড়াইতে রয়েছ আরও দুটি জোট।
কৃষি আইন রদ এবং কর্মসংস্থান তৈরির উপর জোর
এদিন আকাধারে বিজেপি-জেডিইউকে আক্রমণ করার পাশাপাশি এই ছোটো জোটগুলিকেও কটাক্ষ করা হয়। এদিন ইস্তেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে আরজেডির তেজস্বী যাদব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সর্বভআরতীয় মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। কৃষি আইন রদ এবং কর্মসংস্থান তৈরির মতো জনমুখী প্রতিশ্রুতি রয়েছে বিরোধীদের এই ইস্তেহারে।
বিজেপিকে জোট ধর্ম নিয়ে আক্রমণ সুরজেওয়ালার
এদিকে এদিন অনুষ্ঠান থেকে বিজেপিকে জোট ধর্ম নিয়ে আক্রমণ শানান কংগ্রেস নেতা রণদীব সিং সুরজেওয়ালা। সুরজেওয়ালা বলেন, বিজেপির তরফে তিনটি আলাদা জোটের মাধ্যমেই এই নির্বাচন লড়া হচ্ছে। একটি তো জেডিইউ-বিজেপি জোট, যা সকলের চোখের সামনে। এছাড়া এলজেপির সঙ্গে আঁতাত রয়েছে বিজেপির। এবং সব শেষে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতাও রয়েছে বিজেপির।
কংগ্রেস-আরজেডির চিন্তার কারণ
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস-আরজেডি থেকে মুসলিম এবং দলিত ভোট ছিনিয়ে নিতে পারে ৬ দলের তৃতীয় ফ্রন্ট। বিজেপি-জেডিইউ-র বিরুদ্ধে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং মায়াবতী হাত মিলিয়েছেন, যাতে আখেড়ে লাভ হবে বিজেপির। এছাড়া বিহারের মহাদলিত, কুরমি, মল্লা জাতিদের নেতারাও এই জোটে রয়েছে। এই জোটের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ক্ষোভের মূল কারণ, বিরোধী ভোট কাটাকাটি হয়ে গেলে সর্বোচ্চ ভাট প্রাপক হিসাবে বিজেপি-জেডিইউ জয়ী হয়ে যাবে।
করোনা, বন্যা, বেকারত্ব! তৈরি আক্রমণের হাতিয়ার
রাজ্যে করোনা সংকট মোকাবিলা করতে সরকারের ব্যর্থতা ভোটারদের সামনে তুলে ধরা ছাড়াও নতুন কৃষি আইন নিয়েও সরকারের কড়া সমালোচনার পথে হাঁটবেন তেজস্বীরা। কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থ নীতীশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তেজস্বীর প্রতিশ্রুতি সরকারে এলেই ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বিহারের যুব সমাজকে। এছাড়া এদিন রাজ্যের বন্যা দর্গতদের পাশে থাকার বার্তা দেন আরজেডি নেতা।
বৃহস্পতিবারই ২৪৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা সম্পন্ন
এর আগে বৃহস্পতিবারই ২৪৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণার বিষয়টি সম্পন্ন করে দেয় মহাজোট। ২৪৩ আসনের মধ্যে আরজেডি লড়বে ১৪৪টি আসনে। কংগ্রেসকে দেওয়া হয়েছে ৭০টি আসন। এছাড়া সিপিআইকে ৪টি, সিপিআইএমকে ৬টি এবং সিপিআই-এমএল-কে ১৯টি আসন দেওয়া হয়েছে।
বিহারে নীতীশের গদি বাঁচাতে বাজি সেই 'ব্র্যান্ড' মোদী, নির্বাচনী ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সূচি