হিমাচল প্রদেশ নির্বাচন ২০২২: বিনামূল্যে বিদ্যুৎ থেকে ৫ লক্ষ চাকরি, কংগ্রেসের ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি
বিধানসভা নির্বাচনের সাত দিন আগে কংগ্রেস হিমাচল প্রদেশের জন্য ইস্তেহাল প্রকাশ করল। এই ইস্তেহারে বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ এবং যুবকদের জন্য ৫ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। নতুন দিল্লিতে এই ইস্তেহার প্
বিধানসভা নির্বাচনের সাত দিন আগে কংগ্রেস হিমাচল প্রদেশের জন্য ইস্তেহাল প্রকাশ করল। এই ইস্তেহারে বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ এবং যুবকদের জন্য ৫ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। নতুন দিল্লিতে এই ইস্তেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
|
কংগ্রেসের ইস্তেহারে যা যা রয়েছে
হিমাচল প্রদেশের জন্য কংগ্রেসের প্রকাশিত ইস্তেগারে ওল্ড পেনশন স্কিম কার্যকর করা, ক্ষমতায় আসলে রাজ্যের প্রত্যেক মহিলাকে মাসে ১৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা। এদিনের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিমাচলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা রাজীব শুক্লা, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুখবিন্দর সিং সুখু, এআইসিসির সেক্রেটারি তেজিন্দর পাল বিট্টু, মণীশ চাতরথের মতো নেতারা।
|
হিমাচলের জনগণকে ১০ গ্যারান্টি
কংগ্রেসের ইস্তেহারে হিমাচল প্রদেশের জনগণকে ১০ গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে যুবকদের কর্ম সংস্থান থেকে বিনামূল্যে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সেখানে ৬৮০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল এবং প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় চারটি করে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে বিনামূল্যে চিকিৎসা ছাড়াও ২ টাকা কেজি দলে ঘুঁটে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি জনগণের প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ
দলের ইস্তেহার প্রকাশের পরে ইস্তেহার কমিটির চেয়ারম্যান ধনিরাম শান্ডিল বলেছেন, বিজেপি জনগণের প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তারা পাঁচবছর আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। দলের ইস্তেহার সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এটই শুধুমাত্র একটি নির্বাচনী ইস্তেহার নয়, এটি হিমাচল প্রদেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য তৈরি নথি।
হিমাচল প্রদেশে ভোট
১৪ অক্টোবর হিমালচ প্রদেশের ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়। তখনই জানানো হয়, ১২ নভেম্বর সেখানে ভোট নেওয়া হবে। ৮ ডিসেম্বর ভোট গণনা করা হবে। প্রসঙ্গত ৬৮ সদস্য বিশিষ্ট হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৪ জানুয়ারি। ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতি পাঁচবছর অন্তর সরকার বদল সেখানকার প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি তাই হয়, এবার সেখানে বিজেপির ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
পঞ্চায়েতে-রণকৌশল স্থির করতে অভিনবপন্থা! 'দুর্নীতির খাম' হাতে তৃণমূলকে নিশানা সুভাষ সরকারের