মোদী হটাতে এবার ‘নিঃশর্ত’ হচ্ছেন রাহুল! সুশাসনের লক্ষ্যে ‘কর্ণাটক-মডেল’ প্রয়োগ
কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়ার স্বপ্ন ছিল নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহদের। বিজেপির সেই স্বপ্ন সাধনে অন্তরায় হয়েছিল কর্ণাটক। সেই কর্ণাটকই আবার দেশ থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকার হটানোর দিগনির্দেশ করে দিল।
কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়ার স্বপ্ন ছিল নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহদের। বিজেপির সেই স্বপ্ন সাধনে অন্তরায় হয়েছিল কর্ণাটক। সেই কর্ণাটকই আবার দেশ থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকার হটানোর দিগনির্দেশ করে দিল। কর্ণাটক নির্বাচনের সাফল্য নিয়েই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এখন জোট-পন্থা নিরূপণ করে ফেললেন।
নমনীয় রাহুল
রাহুলের সিদ্ধান্ত, এখন তিনি দেশ থেকে মোদী-শাসন দূর করার অঙ্গীকার নিয়েছেন। সেই অঙ্গীকার রক্ষায় যেকোনও সমাঝোতায় তিনি রাজি। যে কোনও শর্ত তিনি মানতে রাজি। মোট কথা যা করলে মোদী-শাহের দলকে পরাস্ত করা যাবে, তা করতে তিনি এতটুকু দ্বিধা করবেন না। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছঁতে তিনি সহযোগী দলকে সমস্তরকম সুবিধা দেবেন।
পথ দেখাচ্ছে কর্ণাটক
কংগ্রেসের ব্যাখ্যা, কর্ণাটক উপনির্বাচনের ফলাফল আসলে মোদী-পতনের একটা ইঙ্গিত। কর্ণাটকের নির্বাচনী ফল স্থির করে দিল কোন পথে হবে মোদী-ক্ষমতার অবসান। রাহুল গান্ধী সেই পথ ধরেই এগিয়ে চলবেন এবং মোদী বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে সুশাসনের রাস্তা তৈরি করে দেবেন।
জোটের হাতে ধরাশায়ী বিজেপি
কর্ণাটক নির্বাচনে কংগ্রেস ও জেডিএস পৃথকভাবে লড়াই করলেও, ভোট পরবর্তী জোট হয় দুই দলের। সেই জোটবদ্ধ রাজনীতির কাছে বিজেপি পিছু হটতে শুরু করে। বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপি সরকার গড়ার চেষ্টা করলেও, তা স্থায়ী হয়নি। আস্থা ভোটে শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়েন সম্মিলিত কংগ্রেস-জোটের হাতে।
ত্যাগ স্বীকার করবে কংগ্রেস
তারপর রাহুল গান্ধী বৃহত্তর শক্তি হওয়া সত্ত্বেও কম শক্তির জেডিএসকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে বড় মনের পরিচয় দেন। স্থির করে দেন, বিজেপিকে রুখতে আঞ্চলিক শক্তিকে বাড়তি সুবিধা দিতে তিনি কার্পন্য করবেন না। বড় দাদার মতোই ত্যাগ স্বীকার করবে কংগ্রেস। আর তা হলেই মোদীর কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়ার স্বপ্নের অবসান ঘটাতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে একটি কেন্দ্রে ভোটার মাত্র ৪জন! কী ব্যবস্থা কমিশনের জানলে চমকে যাবেন ]
কর্ণাটকে জোটের শপথ
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ মঞ্চ থেকেই মোদী বিরোধী জোটের সুর চড়েছিল। তারপর থেকেই চওড়া হতে শুরু করে জোট আলোচনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মায়াবতী, অখিলেশ থেকে চন্দ্রবাবু নাইডু- মোদী বিরোধী জোটের পক্ষে সওয়াল করেন। রাহুল গান্ধী সেইমতোই রাজ্যে রাজ্যে জোট গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন:দিলীপ গড়ে মহা সাফল্য গেরুয়া শিবিরের, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে হাজারের বেশি নেতা-কর্মী]
কর্ণাটক মডেলের প্রয়োগ
কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। তাই তাঁকে দিল্লির কুর্সি থেকে হটাতে, যেখানে যে দল শক্তিশালী, সেখানে সেই দলকে গুরুত্ব দিয়েই জোট গঠন করা হবে। অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়েই কংগ্রেস চলবে। তাঁদের সর্বত সাহায্য করবে। যে নীতি মেনে কর্ণাটকে সরকার চলছে, সেই একই নীতিতেই জোট গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন রাহুল।
[আরও পড়ুন: জোট-মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর জয়ে 'লজ্জা'য় বিজেপি! লোকসভার আগে কংগ্রেসের কাছে অশনি সংকেত]