রাহুল-সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কারা ‘রিজেক্টেড’! তাহলে এবার নেতৃত্বে কে, রিপোর্ট পেশে প্রশ্ন
পরিবারতন্ত্রই কংগ্রেসের কফিনে পেরেক পুতে দিয়েছে। বংশপরম্পরায় রাজনীতি বিপদ ডেকে এনেছে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের অনুসন্ধান কমিটির এই রিপোর্টেই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন সোনিয়া-রাহুলরা।
সম্প্রতি কংগ্রেসের অনুসন্ধান কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে, কংগ্রেসের হারের জন্য দায়ী বংশপরম্পরায় রাজনীতি। দুই রাজ্যে বিধাসভা নির্বাচনের আগে এই রিপোর্ট প্রকাশের পর কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে পড়ল। লোকসভার দায় নিয়ে তো রাহুল সরে গিয়েছিলেন। কোনও বিকল্প না গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে উঠে না আসায় বাধ্য হয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন সোনিয়া।
গান্ধী পরিবারের বাইরের কে!
এখন প্রশ্ন এই রিপোর্ট অনুযায়ী কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা ফের ফিরিয়ে আনতে হলে গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে সভাপতি করতে হবে। যা বলেছিলেন রাহুল গান্ধী, সেই কথাই মান্যতা পেয়েছে রিপোর্টে। তাহলে কে হাল ধরবেন কংগ্রেসের- এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।
রাহুল-সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কারা ‘রিজেক্ট’!
কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন সোনিয়া-রাহুলরা। তাহলে কী হবে কংগ্রেসের। এমনিতেই রাহুল-সোনিয়া ছাড়া নেতা মিলছে না। তারপর রাহুল-সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কাদের একপ্রকার ‘রিজেক্ট' করেছে কংগ্রেসের এই কমিটি। এখন তাই ফের বিকল্প নেতার সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত কংগ্রেসের আকাশে কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে।
কংগ্রেস মানেই এতদিন গান্ধী পরিবার
কংগ্রেস মানেই গান্ধী পরিবার। আর গান্ধী পরিবার মানেই কংগ্রেস। এটাই যেন ধ্রুব সত্য হয়ে গিয়েছ মহাত্মা গান্ধী-মতিলাল নেহরু থেকে শুরু। তারপর বংশপরাম্পরায় চলে আসছে কংগ্রেসি নেতৃ্ত্ব। মতিলাল নেহরুর পর তাঁর পুত্র জওহরলাল নেহরু, তারপর নেহরু-কন্যা ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু রাহুলদের বংশপরম্পরা। ইন্দিরার পর পুত্র রাজীব-সঞ্জয়, হালে সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।
ব্যাটন বরাবরই গান্ধী পরিবারের হাতে
স্বাধীনোত্তরকালে কংগ্রেসের ব্যাটন ঘোরাফেরা করেছে সেই গান্ধী পরিবারের হাতেই। খুব সামান্য সময়ে অন্য হাতে গেলেও ফের তা ফিরে এসেছে গান্ধী পরিবারের কারও হাতে। আর এটাই নাকি গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের হারের জন্য দায়ী। লোকসভা ভোটে এই পরিবারতন্ত্রই ভরাডুবি করে ছেড়েছে কংগ্রেসের।
কংগ্রেসের ভরাডুবি কেন, রিপোর্ট পেশ
এবার সে অর্থে মোদী হাওয়া না থাকা সত্ত্বেও কেন কংগ্রেসের এমন ভরাডুবি হল। সেই কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল কংগ্রেস। সেই অনুসন্ধান কমিটিই রিপোর্ট দিয়েছে বংশপরম্পরায় রাজনীতিই কংগ্রেসকে ডুবিয়ে ছাড়ছে। তাহলে কী হবে ভবিষ্যৎ, প্রশ্ন চিহ্ন উঠে পড়ল কংগ্রেসকে নিয়ে।
রাহুল তো আগেই জানিয়েছিলেন এই তত্ত্ব
লোকসভা ভোটে হারের দায় নিযে রাহুল সরে গিয়েছেন সভাপতি থেকে। তিনি নিজে দাবি করেছিলেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ কংগ্রেসের দায়িত্ব নিন। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও বিকল্প কোনও নাম আসেনি। রাহুল ফিরতে রাজি না হওয়ায় শেষমেশ অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হয়েছে সোনিয়া গান্ধী।
ভরাডুবির পর কংগ্রেস বিকল্প পায়নি
লোকসভা ভোটে রাহুল চেষ্টা করেছিলেন মোদীবিরোধী মুখ হয়ে উঠতে। কিন্তু তিনি পারেননি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সামনে এনেছিলেন প্রচার আরও জোরদার করতে। তারপরও কংগ্রেসের পালে হাওয়া লাগেনি। সেই ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। এবারও প্রধান বিরোধী মর্যাদা পাওয়ার মতো আসনও সংগ্রহ করতে পারেনি। এই অবস্থা কংগ্রেসে এখন বিকল্প খোঁজাই জরুরি বলে রিপোর্টে প্রকাশ।
[ শুভশ্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু! বাতাসের বিরুদ্ধে, নেতার অভিযোগের পরামর্শে শোরগোল]
[ লোকসভা ভোটে হারের কারণ খুঁজে পেল কংগ্রেস, পরিবারতন্ত্রে দেখা দিয়েছে সিঁদুরে মেঘ ]