লোকসভার মুখে ভাঙন কংগ্রেসে, ‘অপারেশন লোটাস’-এ বিধায়কের যোগদান বিজেপিতে
বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কের পদত্যাগের পরই জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটল দুদিনের মধ্যেই।
বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কের পদত্যাগের পরই জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটল দুদিনের মধ্যেই। বুধবার গুলবার্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় উপস্থিত হয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক উমেশ যাদব। এই যোগদানকে 'অপারেশন লোটাস'-এ বিজেপির প্রথম সাফল্য বলে বর্ণনা করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় উপস্থিত হয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর উমেশ যাদব বলেন, এবার একজন সাধারণ বিধায়কের সঙ্গে বড় নেতার লড়াই হবে। তাই আপনমাদের সমর্থন খুব জরুরি। তাঁর এই কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তাঁকে লোকসভায় প্রার্থী করার টোপ দিয়েই বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলবার্গে কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন কংগ্রেসত্যাগী এই বিধায়কই। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের বিষয়ে কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুণ্ডু রাও বলেন, যাদবের পদত্যাগ প্রত্যাশিতই ছিল। তিনি নিজের স্বার্থে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আর বিজেপি প্রথম দিন থেকে কংগ্রেস-জেডিএস ভাঙানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নানা প্রলোভন দেখিয়ে।
[আরও পড়ুন: বিজেপির প্রার্থী তালিকা ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়! বিড়ম্বনায় পড়েছে রাজ্য নেতৃত্ব]
উল্লেখ্য, কংগ্রেস বিধায়ক উমেশ যাদবের পদত্যাগ ও বিজেপিতে যোগদানের ফলে বিধানসভায় শাসক দলের শক্তি কিছুটা কমে গেল। কংগ্রেস-জেডিএস জোটের এখন ১১৬ জন সদস্য রয়েছে। আর বিরোধী বিজেপির সংখ্যা ১০৪ জন। উমেশের দলবদল সরকারে কোন প্রভাব পড়বে না ঠিকই, কিন্তু অশনি সংকেত দিয়ে গেল এই পদত্যাগ। এর আগে বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক ভাঙিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তপ্ত হয়েছিল কর্ণাটক। এই দলবদলও অপারেশন লোটাসের অঙ্গ বলে ব্যাখ্যা করেছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: নিজের দলের বিধায়ককে জুতোপেটা বিজেপি সাংসদের, দেখুন ভিডিও]