কংগ্রেসের ভাঙন ঠেকিয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছেন! সচিন-রাহুল বৈঠকেই 'হাত' শিবিরের ওভারবাউন্ডারি
কপিল সিব্বল কটাক্ষের সুরে কয়েক সপ্তাহ আগে সচিন পাইলটের উদ্দেশে প্রশ্ন করে টুইট করেছিলেন যে, 'ঘর ওয়াপসি' নিয়ে সচিন কিছু ভাবছেন কী না! আর তার কয়েক দিন বাদেই সম্ভবত কংগ্রেস সেই প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেল। এদিন সচিন-রাহুল হাইভোল্টেজ বৈঠকে টিম কংগ্রেস ফের একবার ছক্কা হাঁকিয়ে দিয়েছে !
বরফ গলল
টানা কয়েক সপ্তাহের টানাপোড়েন ও আইনি লড়াইয়ের পর শেষমেশ মরুরাজ্যের কংগ্রেসের বরফ গলার পথে। এদিন, দিল্লির ১২ তুঘলঘ রোডের বাসভবনে সচিন পাইলটের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বৈঠকের সচিনের ক্ষোভকে আমল দেওয়া হয়েছে বলে সচিন ক্যাম্পের দাবি। ফলে পাইলট আপাতত গোঁসা থেকে খানিকটা বেরিয়েছেন বলে খবর।
আর রাস্তা ছিল না সচিনের?
এদিন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গাান্ধীর সঙ্গে বসে আলোচনা ছাড়া রাস্তা ছিল না সচিনের। কারণ তাঁর কাছে আর মাত্র ১৯ জন বিধায়ক ছিল। যা দিয়ে সচিন সরকার গঠনের রাস্তায় যেতে পারেতন না।
বিজেপির রাস্তা বন্ধ
রাজস্থানে বিজেপির রাস্তা কার্যত বন্ধ করে দিয়েছেন সচিন নিজেই। প্রথমেই তিনি জানিয়ে দেন বিজেপিতে যাওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই। অন্যদিকে, আস্থাভোট হলে সচিনের তরফে বিধায়কের কমতি হলেও, বিজেপির বসুন্ধরা রাজের বিধায়করা ক্রস ভোটিং এর দিকে যেতে পারতেন। ফলে সেই রাস্তাতেও বিপাক ছিল।
গান্ধীরাই নিশ্চিন্ত ছাতা!
সচিন পাইলট দেখেছেন, এই গোটা পর্বে তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের একাধিক নেতা মুখ খুললেও রাহুল গান্ধীরা তা করেননি। ফলে সেক্ষেত্রে অনেকটাই স্বস্তিতে রাহুলের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন সচিন। সবমিলিয়ে আপাতত কংগ্রেসের সচিনের 'ঘর ওয়াপসি'র অধ্যায়ের কাউন্টডাউন শুরু।