'এক দেশ এক দাম' হোক, ভ্যাকসিনের মূল্য নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের
'এক দেশ এক দাম' হোক, ভ্যাকসিনের মূল্য নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের
করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও রাজনীতি করছে মোদী সরকার। সরিসরি অভিযোগ করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি িচদাম্বরম। তিনি দাবি করেছেন কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে দামে বৈষম্য করছে মোদী সরকার। রাজ্য গুলির উপর করোনা ভ্যাকসিনের দামের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মোদী সরকার যদি এক দেশ এক বাজার তৈরির টার্গেট করতে পারে তাহলে কেন করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেটা হবে না। নিশানা করেছেন পি চিদাম্বরম।
করোনা ভ্যাকসিন সংকট
গোটা দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দেশে প্রবল ভ্যাকসিন সংকট তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক জায়গায় করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সংকট চরমে উঠেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে অথচ ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। ভ্যাকসিন চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য রাজ্যগুলিও চিঠি লিখেছে।
করোনা আক্রান্ত রাহুল গান্ধী
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে রাহুল গান্ধী। তিনি নিজেই টুইট করে সেকথা জানিয়েছেন। তাঁর সংস্পর্শে আসা করোনা ব্যক্তিদের আইসোলেশনে থেকে করোনা বিধি মানার নির্দেশ দিয়েছেন। রাহুল গান্ধীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও টুইটে রাহুল গান্ধীর আরোগ্য কামনা করেছেন।
মোদী সরকারকে নিশানা চিদাম্বরমের
করোনা মোকাবিলায় পি চিদাম্বরম মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেওএক দেশ এক দাম নীতি নেওয়া হোক। মোদী সরকার প্রথম থেকেই এক দেশ এক বাজার করতে চাইছে তাহলে ভ্যাকসিনের দামের ক্ষেত্রেও সেটা প্রয়োগ করা হোক। কেন্দ্রকে কম টাকায় ভ্যাকসিন দিয়ে রাজ্যগুলির উপর দামের বোঝা কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন বণ্টনেও মোদী সরকার পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন চিদাম্বরম।
বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের দাবি
করোনা সংক্রমণের দাপট কমাতে ১৮ বছর থেকেই টিকাকরণে অনুমতি দিয়েছে মোদী সরকার। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের কেন বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়া হবে না তাই নিয়ে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। চিদাম্বরম দাবি করেছেন করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মোদী সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে ভেদাভেদ তৈরি করছে। ভ্যাকসিন উৎপাদন সংস্থা গুলির সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাতে উৎপাদনের ৫০ শতাংশ কেন্দ্রকে দেবে তারা। তারপরে বাকিটা রাজ্যগুলিকে এবং বাইরে পাঠাতে পারবে। এক্ষেত্রে বাজার মূল্যের দরেই রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন কিনতে হবে।