দেশের নিরাপত্তার হুমকির কারণ রোহিঙ্গা শরণার্থীরা, বিজেপির মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের
দেশের নিরাপত্তার হুমকির কারণ রোহিঙ্গা শরণার্থীরা, বিজেপির মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। বিতর্কের সূত্রপাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর একটি টুইট। সেই টুইটকে ঘিরেই তোপ পাল্টা তোপ শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফে রোহিঙ্গাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাল্টা কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি প্রশ্ন তুলেছেন, 'উন্নত দেশগুলোতে অনেক ভারতীয়রা রয়েছেন। তাঁদের কোনও বৈধ কাগজ নেই। তাঁদের সম্পর্কে আপনাদের মত কী?'
কী বললেন কংগ্রেস সাংসদ
বৃহস্পতিবার টুইটে কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি বলেন, 'পৃথিবীর সমস্ত অবৈধ শরনার্থীরা যদি কোনও দেশের নিরাপত্তার কারণ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আমেরিকা, ইউরোপের অনেক উন্নত দেশে বৈধ নথি ছাড়া ভারতীয় শরণার্থী রয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে আপনারা কী বলবেন? রোহিঙ্গারা নৃশংস ঘটনার সাক্ষী। নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যার মতো ঘটনার নৃশংস স্মৃতি নিয়ে রোহিঙ্গারা এক দেশ থেকে অন্য দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আশ্রয়ের আশায়।'
বিজেপি নেতার দাবি
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এক মন্তব্যের পর দেশে রোহিঙ্গা ইস্যু নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। বুধবার বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া রোহিঙ্গাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তিনি তুষ্টির রাজনীতি করছেন। ভাটিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, 'কেজরিওয়াল তুষ্টির রাজনীতি করছেন। সেটা রোহিঙ্গাদের জন্য। দিল্লির সাধারণ মানুষের জন্য নয়। কেন্দ্রের তরফে সব সময় একটা স্পষ্ট নীতি রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। দেশের আইন অনুসারে তাঁদের নির্বাসিত করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ২৯ জুলাই দিল্লির মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকের আয়োজন করা সেখানেই অবৈধ শরণার্থীদের ইডব্লিউএস ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেজরিওয়াল সরকার তুষ্টির রাজনীতি করছে।
বিতর্কের শিরোনামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর টুইট
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর ঘটনায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তিনি টুইট করে বলেন, 'ভারতে এসে যে সমস্ত শরণার্থীরা আশ্রয় চান, ভারত তাঁদের স্বাগত জানান। শরণার্থীদের নিয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ইডব্লিইএস ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করা হবে। সেখানে বাস করার প্রাথমিক সুযোগ সুবিধা থাকবে। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হরদীপ সিং পুরীর এই টুইটের প্রেক্ষিতেই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কেজরিওয়াল সরকার কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে হরদীপ সিং পুরীর এই ঘোষণাকে অস্বীকার করা হয়েছে। পর পর তিনটে টুইট করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের কোনও নির্দেশ কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়নি।
ফাইল হাতে হাইকোর্টে সুকন্যা মণ্ডল পৌঁছতেই গরু পাচার চিৎকার মহিলার