
সময় এসেছে হরিয়ানায় জেজেপি, আইএনএলডি, কংগ্রেসের জোট সরকার গড়ার, মন্তব্য হুডার
কংগ্রেস, জননায়ক জনতা দল, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল ও নির্দল প্রার্থীদের উচিৎ একসঙ্গে এসে একটি শক্তিশালী জোট গঠন করা। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনার ফল প্রকাশ এগোতেই এমন মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ভুপিন্দর সিং হুডা।

ভুপিন্দর সিং হুডার বক্তব্য
রোহতাকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হুডা বলেন, "সময় এসেছে কংগ্রেস, জননায়ক জনতা দল, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল ও নির্দল প্রার্থীদের একসঙ্গে এসে একটি শক্তিশালী জোট গঠন করার। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করছি যে সব দলকে সমান সম্মান দেওয়া হবে। সরকারের সবাইকে সম্মানীয় পদ দেওয়া হবে।"

ব্যাকফুটে বিজেপি
হরিয়ানায় ভোট গণনা শুরু হতেই প্রাথমিক প্রবণতায় জোর ধাক্কা খায় বিজেপি। স্পষ্ট হতে থাকে যে হরিয়ানার বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে। মূলত বিজেপি-কংগ্রেসের লড়াই হলেও হরিয়ানাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল ও দুষ্যন্ত চৌতালার জননায়ক জনতা পার্টি। রাজ্যে বৃহত্তম দল হিসাবে বিজেপি-র আবির্ভাব হলেও ভালো ফলের দিকে এগোচ্ছে দুষ্মন্ত চৌতালার জেজেপি দল।

কিংমেকার দুষ্মন্ত চৌতালা
এই অবস্থায় জেজেপি-র কিংমেকার হওযার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে দেখা দেয়। কারণ ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪৬। সেই সাম্ভাবনাকে সত্যি প্রমাণিত করে জেজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যেই দল চৌতালাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেবে সেই দলের সঙ্গে জোট গড়তে রাজি জেজেপি। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস চৌতালাকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ দেবে বলে জানা যায়।

কী বললেন দুষ্মন্ত?
কংগ্রেসের এই প্রস্তাব প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে দুষ্মন্ত বলেন, "সন্ধ্যায় আমাদের দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ বৈঠক বসবে। সেখানেই কোন দলের সঙ্গে জোট হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত আমি এটা নিয়ে কারুর সঙ্গে কথা বলিনি।" এদিকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ভুপিন্দর সিং হুডার সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানা গেছে।
২০১৯ পাঞ্জাব উপনির্বাচনের ফলাফল: জলালাবাদের দূর্গ ধরে রাখল অকালি দল, গড়ে 'হাত' শক্ত করছে কংগ্রেস