২০১৯-এ জোট হিসেবেই লড়বে কংগ্রেস-জেডিএস! মন্ত্রক বন্টনের দিনই ঘোষণা
কর্ণাটকে ক্যাবিনেট বন্টনের দিনই জানানো হল ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে প্রাক-নির্বাচনী জোট হিসেবে লড়বে কংগ্রেস ও জেডিএস।
জোট মজবুত করতে চেষ্টার খামতি রাখছে না কংগ্রেস ও জেডিএস। বেশ কয়েকদিনের আলাপ আলোচনার পর মন্ত্রিসভার ভাগাভাগি নিয়ে তারা চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব থাকছে জেডিএসের হাতেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও বেঙ্গালুর শহর উন্নয়ন দপ্তর পাচ্ছে কংগ্রেস। তবে এদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হল ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে প্রাক-নির্বাচনী জোট হিসেবে লড়বে দুই দল।
আস্তে আস্তে আকার ধারণ করা শুরু করেছে ফেডেরাল ফ্রন্ট। কর্ণাটকের নির্বাচনের পর বিজেপিকে রুখতে যে জোট গঠন করেছিল কংগ্রেস ও জেডিএস তাকেই কয়েক কদম এগিয়ে নিয়ে গেল দুই দল। কংগ্রেস নেতা কে কে বেনুগোপাল শুক্রবার ঘোষণা করেন, কংগ্রেস ও জনতা দল (সেকুলার) ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রাক-নির্বাচনী জোট হিসেবে লড়াই করবে।
কুমারস্বামীর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহনের মঞ্চে হাজির হয়ে ফেডেরাল ফ্রন্টের শক্তি প্রদর্শ করেছিলেন দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক দলের নেতারা। তারপর উপনির্বাচনেও অনেক জায়গাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী একাধিক দলকে জোট বেধে লড়তে দেখা গিয়েছে। তাতে সাফল্যও এসেছে। কিন্তু এখনও অবধি ২০১৯-এ প্রাক-নির্বাচনী জোটে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেনি কোনও দলই। কংগ্রেস-জেডিএস'ই সেই পথ দেখালো।
কুমারস্বামী শপথ নেওয়ার আগেই দাবি করা হয়েছিল, জোট মন্ত্রিসভা নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। কিন্তু পরে জানা যায় কয়েকটি দপ্তর নিয়ে তারপরেও মতভেদ রয়েছে। এতদিনে জোট সেই সমস্যাগুলিও মেটাতে পেরেছে। এদিন জোট ক্যাবিনেটের ভাগাভাগির চুড়ান্ত ছবিটাও প্রকাশ করা হয়েছে। কংগ্রেস পাচ্ছে ২২ টি পদ, জেডিএস কে দেওয়া হচ্ছে ১২ টি।
কংগ্রেসের দপ্তরগুলি হল, স্বরাষ্ট্র, সেচ, বেঙ্গালুর শহর উন্নয়ন,শিল্প ও ইক্ষু শিল্প, স্বাস্থ্য, রাজস্ব, নগরোন্নয়ন, গ্রামোন্নয়ন, কৃষি, আবাসন, চিকিৎসা সংক্রান্ত শিক্ষা, ,সমাজ কল্যান, বন ও পরিবেশ, শ্রম, খনি ও ভূতত্ত্ব, নারী ও শিশু কল্যান, খাদ্য ও নাগরিক জোগান, হজ ওয়াকফ এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক, আইন ও সংসদ বিষয়ক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - আইটিবিটি, যুব ক্রিড়া ও কন্নড় সংস্কৃতি, বন্দর ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন উন্নয়ন।
জেডিএস-কে যে ১২ টি দপ্তর দিতে সম্মত হয়েছে কংগ্রেস সেগুলি হল - তথ্য (জিএডি, গোয়েন্দা, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান), অর্থ ও আবগারি, পিডব্ল্যুডি, শক্তি, সহযোগিতা, পর্যটন, শিক্ষা (চিকিৎসা সংক্রান্ত শিক্ষা ব্যতীত), পশুপালন ও মৎসচাষ, উদ্যান পালন ও রেশম চাষ, ক্ষুদ্রশিল্প, পরিবহন, ক্ষুদ্র সেচ।
এর সঙ্গে জোট বজায় রাখতে দুই দলের প্রতিনিঝিদের নিয়ে একটি জোট সমন্বয় এবং নিরীক্ষণ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি প্রতি মাসে অন্তত একবার করে আলোচনায় বসবে। একসঙ্গে সরকার চালানোর অস্বস্তিকর দিকগুলি কাটানোই এই কমিটির প্রধান কাজ।