বিজেপির অস্ত্রই ব্যুমেরাং করে ইয়েদুরাপ্পাদের ঘায়েল করবে কংগ্রেস
কর্ণাটকে কংগ্রেস ৭৮টি, জেডিএস ৩৮টি আসন পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ১০৪টি আসন। তাও সরকার গঠন করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে।
বছর খানেক আগে বিজেপির ওঠানো সওয়ালকেই হাতিয়ার করে কর্ণাটকে বিজেপিকে ঘায়েল করতে আঁটঘাঁট বেঁধেছে কংগ্রেস। এক্ষেত্রে কংগ্রেসের অস্ত্র ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অসুস্থ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির স্যোশাল মিডিয়ায় করা একটি সওয়াল। সেটাই শেষ অবধি বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারে।
গতবছরে গোয়া ও মনিপুরের ভোটের পর ত্রিশঙ্কু অবস্থা হওয়ায় বিজেপি কংগ্রেসের চেয়ে কম আসন পেয়েও অন্য দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে দুই রাজ্যে সরকার গঠন করে। যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:বিজেপির হয়েই সাফাই গাইলেন ইউপিএ ১-এর লোকসভা স্পিকার, কী বার্তা সোমনাথের]
যে প্রেক্ষিতে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, ত্রিশঙ্কু বিধানসভায়, নির্বাচিত বিধায়কদের অধিকাংশ জোট গঠন করে, সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ জোটকেই সরকার গঠন করতে ডাকতে হবে। এবং খুব কম সময়ের মধ্যে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলতে হবে।
গোয়ায় ৪০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস ১৭টি ও বিজেপি ১৩টি আসন পায়। তা সত্ত্বেও ৩জন এমজিপি বিধায়ক, ৩ জিএফপি বিধায়ক ও ৩জন নির্দল বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করে।
মনিপুরেও ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস ২৮টি আসন পায়। বিজেপি পায় ২১টি আসন। তা সত্ত্বেও বিজেপি ৪জন এপিপি বিধায়ক, ৪জন এপিএফ বিধায়ক ও ১ এলজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেসকে বিচ্যুৎ করে।
এবার কর্ণাটকে কংগ্রেস ৭৮টি, জেডিএস ৩৮টি আসন পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ১০৪টি আসন। অন্যান্যরা পেয়েছে ২টি আসন। এক্ষেত্রে বিজেপি সর্ববৃহৎ দল হিসাবে উঠে এলেও কংগ্রেস জেডিএস জোট বেঁধে সরকার গঠন করতে উদ্যোগ নিয়েছে। যা নিয়েই হাজারো বিরোধিতা সামনে আসছে।
[আরও পড়ুন: 'বিমর্ষ মোদী ভুল তথ্য দিচ্ছেন'! প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চায়েত আক্রমণকে খোঁচা তৃণমূলের ]